প্রেমের ফাঁদে পেতে ১২টি মেয়েকে বিয়ে করে দেহ ব্যবসায় নামায় যুবক। এই অভিযোগে বিহার পুলিশের জালে ফাঁসল এক দুষ্কৃতী। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ শামশাদ, বয়স ৩২ বছর। এক নাবালিকা মেয়েকে অপহরণের মামলায় পুলিশ খুঁজছিল শামশাদকে। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে। এরপরই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের চোখ কপালে ওঠে। শামশাদ জানায় সে ১২ জন মেয়েকে বিয়ে করেছে। এর মধ্যে ৮ জনই নাবালিকা। এরপর তাদের দেহ ব্যবসার জন্য সে বিক্রি করে দিত।
এই প্রতারককে গ্রেফতারে সাফল্য পেয়েছে পূর্ণিয়া পুলিশ। ছয় বছর ধরে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে আসছিল অভিযুক্ত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। শামশাদ কোচধামন থানা এলাকার আনারকলি গ্রামের বাসিন্দা। পূর্ণিয়া পুলিশ তার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আনগড় থানার বিজওয়ার গ্রামে এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেছিল। অপহরণের এক সপ্তাহ পর পুলিশ কিষাণগঞ্জ থেকে অপহৃত নাবালিকাকে উদ্ধার করলেও অভিযুক্ত শামশাদ পালিয়ে যায়।
গত ছয় বছর ধরে শামশাদকে ধরতে নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছিল পুলিশ। নাবালিকা মেয়ের বাবা তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দায়ের করেছিলেন পুলিশের কাছে। বাহাদুরগঞ্জ থানার কৈডাঙ্গী গ্রাম থেকে তাকে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত এক, দুটো নয়, বরং এক ডজন বিয়ে করেছে। অভিযুক্ত শামশাদের সাত স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, সে তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। এই মেয়েরা কেউই জানত না যে সে ইতিমধ্যে বিবাহিত। তাদের বক্তব্যের পর শামশাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।