বিহারের আরারিয়া জেলায় মঙ্গলবার একটি ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি জানিয়েছেন, ব্রিজটির নির্মাণ কাজ তাঁদের মন্ত্রকের অধীনে হয়নি। গডকড়ি বলেন, ‘আরারিয়াতে যে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে, সেটি কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের অধীনে নির্মিত হয়নি। এর কাজ বিহার সরকারের গ্রামোন্নয়ন দফতরের তত্ত্বাবধানে চলছিল।’
গডকড়ির দফতর এই তথ্য মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছে। ১৮৩ মিটার লম্বা ব্রিজটি শীঘ্রই যানবাহন চলাচলের জন্য খোলার কথা ছিল, কিন্তু এটি ভেঙে পড়েছে। এটি ২০২৩ সাল থেকে বিহারে সপ্তম এবং এ বছর দ্বিতীয় ব্রিজ ধসের ঘটনা।
আরারিয়া জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইনায়াত খান জানিয়েছেন এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি এখনো চালু হয়নি কারণ অ্যাপ্রোচ রোডটি সম্পূর্ণ হয়নি... তাই কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’ ইনায়াত খান হিন্দুস্তান টাইমসকে ফোনে এ খবর জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, কী কারণে ভেঙে পড়েছে, সেটি তদন্ত করে দেখার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে।
ব্রিজটি আরারিয়া-কিষানগঞ্জ রোডের জেলার সিকটি ব্লকে পারহারিয়া ঘাটের কাছে বাকরা নদীর উপরে নির্মাণাধীন ছিল। প্রকল্পটি ৭.৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছিল এবং এর উদ্দেশ্য ছিল আরারিয়া এবং কিষানগঞ্জ জেলার মধ্যে যাতায়াতের সময় কমানো এবং সিকটি ও কুরসাকান্তা ব্লকের বাসিন্দাদের চলাচল সহজ করা।
গ্রামীণ পূর্ত বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অশুতোষ কুমার জানিয়েছেন, তদন্তের পর ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুমার বলেছেন, নদীর গতিপথের ঘন ঘন পরিবর্তন এই ঘটনার অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে স্থানীয়রা ব্রিজের দুই স্তম্ভের মধ্যে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল, যা ব্রিজ ভেঙে পড়ার কারণ হতে পারে।’
বিহারে এই ভাবে নির্মীয়মাণ ব্রিজ ভেঙে পড়া একটি উদ্বেগজনক প্রবণতার। মার্চ মাসে, সুপল জেলায় কোসি নদীর উপরে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজ ধসে পড়েছিল, যার ফলে একজনের মৃত্যু এবং দশ জন আহত হয়েছিল। গত বছর, পুর্নিয়ার বাইসি ব্লকে দমুহনি নদীর উপরে নির্মীয়মাণ ২০.১ মিটার ব্রিজটি কংক্রিট কাজ শেষ হওয়ার পরপরই ভেঙে পড়েছিল।