বিহারের দুটি আসনের উপনির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে এবার কংগ্রেস ও আরজেডির মধ্যে মন কষাকষি তুঙ্গে। এখনও ‘সমঝোতা ধর্ম’ শেখাচ্ছেন একে অপরকে। আর তার জেরে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে দুই দলের মধ্যে জট যত বাড়ছে বিজেপির হাসি ততই চওড়া হচ্ছে। কার্যত এবার ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির মুখপাত্র নিখিল আনন্দ বলেন, 'আরজেডি আর কংগ্রেস উভয়ই পরিবার ভিত্তিক দল। বিশেষ পরিবারকে তারা অগ্রাধিকার দেয়। আবার উভয়ই একে অপরের থেকে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক হওয়ার চেষ্টা করে। কংগ্রেসই লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল। লালু প্রসাদকে জেলে পাঠানোর পর এবার তেজস্বী যাদবের পালা। এবার কানহাইয়ার হাত ধরে তেজস্বীকে রাজনৈতিকভাবে শেষ করার ছক হচ্ছে।'
জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেন, ‘অবাক লাগছে লালুপ্রসাদ কিছুই বলছেন না।’ এদিকে আরজেডি কংগ্রসেকে ছাড়াই ওই দুই আসনে প্রার্থী পরিকল্পনা নিচ্ছে। এটাকে কংগ্রেস হালকাভাবে নিতে চাইছে না। কংগ্রেস নেতা কিশোর কুমার ঝা বলেন, ‘কংগ্রেস হল একটি জাতীয় দল। কোনও আঞ্চলিত দলের কথায় কংগ্রেস চলবে না। বিহারে আরজেডি ভাবছে সবটা মেনে নেওয়া হবে। কিন্তু এটা হবে না।’ এদিকে আরজেডি নেতা মনোজ ঝাঁর দাবি' আয়নার সামনে একবার দাঁড়াক কংগ্রেস।' তবে সবমিলিয়ে কংগ্রেস ও আরজেডির মধ্যে সম্পর্কের ফাটল যত বাড়ছে ততই জেডিইউ ও বিজেপির অন্দরে বাড়ছে স্বস্তি।