অরুণ কুমার
বিহারে শিক্ষকদের বেতন ইস্যুতে একাধিক সমস্যার কথা উঠে আসতে শুরু করেছিল। বহু শিক্ষক সংগঠনই দাবি করেছিল, যে উৎসবের মাসেও সেখানে বহু শিক্ষক, শিক্ষা কর্মী, অধ্যাপকরা বেতন পাচ্ছেন না। এদিকে, সদ্য এক সভায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, বিহারের স্কুলগুলিতে বহু নিয়োগ হবে, তবে তারই সঙ্গে তাঁর প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি যাঁরা সঠিকভাবে ক্লাসে পড়াচ্ছেন তা তাঁদেরও নজরে আনা হোক।
বিহারের শিক্ষা মন্ত্রী চন্দ্রশেখরকে নীতীশ কুমার এই ইস্যুতে নজর কড়া করতে বলেন। নীতীশ কুমার বলছেন, ‘আমি যেখানেই যাই, সেখানেই পরীক্ষার্থীরা চাকরির জন্য জিজ্ঞাসা করেন। আমি অফিশিয়ালদেরও বলছি প্রক্রিয়া আরও বেশি ত্বরান্বিত করা হোক। কতজন শিক্ষক ছিলেন ২০০৫ সালের আগে?আমরা অনেক কয়টি নিয়োগ করেছি। আর তার সংখ্যা বাড়তে চলেছে। ’ এরসঙ্গেই নীতীশ কুমার বলেন, ‘আমি চাই অধ্যাপক ও শিক্ষকরা যাতে স্কুলে ও কলেজে বেশিক্ষণ পড়ান। যাঁরা পড়াচ্ছেন তাঁরা থাকুন, যাঁরা পড়ান না তাঁদের বেরিয়ে যাওয়া উচিত।’ মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম শতবার্ষিকীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে নীতীশ কুমার প্রসঙ্গ তোলেন নারী শিক্ষার নিয়ে। তিনি বলেন, তিনি নারী শিক্ষা নিয়ে যে নারী শিক্ষা যত বেশি হবে, ততই বেড়ে যাবে প্রজনন সম্পর্কে সচেতনতা। কম বয়সে মহিলাদের প্রজননের হার সারা দেশের গড়ের তুলনাতেও কম রয়েছে বিহারে। তিনি পরিসংখ্যান পেশ করে বলেন, আগে বিহারে মহিলাদের কম বয়সে প্রজননের হার ৪.৩ শতাংশ ছিল। আর বর্তমানে, তা ২.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
১২ নভেম্বরের শনিবার এই টোটকায় ৫ রাশি হতে পারে লাভবান! জ্যোতিষমতে কিছু টোটকা
নীতীশ কুমার এই অনুষ্ঠানে জানান, যে বিহারের মতো রাজ্য ২১ শতাংশ আয় বিনিয়োগ করে থাকে শিক্ষায়। সেখানে বিহারের টার্গেট তা ২৫ শতাংশ করার। নীতীশ কুমার বলছেন, সামাজিক সমস্যা থেকে রেহাই দিতে একমাত্র বড় হাতিয়ার নারী শিক্ষা। ফলে সকলের স্কুলে যাওয়া প্রয়োজন। তিনি তুলে ধরেছেন কোভিড পরিস্থিতির প্রসঙ্গ। সেই সময় মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট যোগে পড়াশোনা হত। তবে মুখোমুখী বসে পড়াশোনা করার প্রক্রিয়া কতটা কার্যকরী তার খতিয়ান দিচ্ছেন নীতীশ কুমার।