পায়ে হাত দিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে প্রণাম করতে গেলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তবে তাঁর থেকে বয়সে বড় নীতীশকে সেই কাজটা করতে দেননি মোদী। যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তারইমধ্যে ভাবী প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন নীতীশ। তিনি বলেন, ‘এদিক-ওদিকে যাঁরা যেতে চান, তাঁদের কোনও লাভ হয় না। তাই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আর আপনার নেতৃত্বে সকলে কাজ করবেন। সকলে এগিয়ে যাবেন। আর সব দলের নেতারা খুশি। তাঁদেরও অভিনন্দন জানাচ্ছি আমি। আমরা সবাই ওঁনার সঙ্গেই থাকব। উনি যা করবেন, সেটা সবাই মিলে মেনে আমরা চলব।’
আর সেই যাবতীয় ঘটনা ঘটেছে এনডিএ জোটের বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর শপথগ্রহণের আগে শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের বৈঠক হয়। সেখানে মোদীর বাঁ-পাশেই বসেছিলেন তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান এন চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর পাশেই ছিলেন নীতীশ। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন মোদীর নাম প্রস্তাব করা হয়, তখন তাতে সমর্থন জানান জনতা দলের (ইউনাইটেড) সুপ্রিমো তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
বিহারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল
এবার যখন বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তখন বিহারের লোকসভা নির্বাচনে চমক দিয়েছে জেডিইউ। আর তাতেই জাতীয় স্তরে একলপ্তে ‘দাম’ বেড়েছে নীতীশের। তাঁর দলের হাতে ১২টি লোকসভা আসন থাকায় এনডিএ জোটের একেবারে প্রাণভোমরা হয়ে উঠেছেন। সেই পরিস্থিতিতে ‘পল্টুবাজ’ হওয়ার দুর্নাম থাকলেও বিজেপিকেই সমর্থন করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন নীতীশ।
ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ নীতীশের
শুক্রবার এনডিএয়ের বৈঠকে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ শানিয়ে নীতীশ বলেন, ‘এবার যাঁরা জিতে গিয়েছেন, তাঁরা আগামী নির্বাচনে হেরে যাবেন। সেটার বিষয়ে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত। ওঁরা কখনও দেশের জন্য কাজ করেননি। ওঁরা কখনও দেশের উন্নতির কথা ভাবেননি। আপনার (মোদী) নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবে দেশ।’ আর সেই কথা শুনে নিজেদের হাসি থামাতে পারেননি মোদী এবং এনডিএ জোটের অন্যান্য নেতারা।
তারইমধ্যে দ্রুত মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরামর্শ দেন নীতীশ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি চাইছিলেন যে আজই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যেন শপথ নিয়ে নেন মোদী। যদিও শেষপর্যন্ত নীতীশের সেই মনস্কামনা পূর্ণ হচ্ছে না। আগামী রবিবার সন্ধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোদী।