একপেশে হয়েছিল আইপিএল ফাইনাল। কিন্তু বিহার ভোটের ফয়সালা যে শেষ ওভারেই হবে, তা সকাল থেকেই বোঝা গিয়েছিল। আর সেই লড়াই এতটাই হাড্ডাহাড্ডি হল যে কমপক্ষ ১১ টি আসনে জয়ের ব্যবধান ১,০০০-এর কম থাকল। তার মধ্যে আবার সাত আসনে ৫০০ ভোটের কম ব্যবধানে হার-জিতের ফয়সালা হল।
নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হিলসা আসনে মাত্র ১২ ভোটে জয়ী হয়েছেন জেডিইউ প্রার্থী। দ্বিতীয় স্থানে আছেন আরজেডি প্রার্থী। যথারীতি সেখানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের দলের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে এলজেপি। যে দলের প্রার্থী প্রায় ১১ শতাংশ ভোট টেনেছেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য জিতে চান জেডিইউয়ের প্রার্থী।
আরও পড়ুন : হার ৫ মন্ত্রীর, জয় ২ লালুপুত্রের, একনজরে বিহারের তারকা প্রার্থীদের রেজাল্ট
বারবিঘা আসনে জয়ের এনডিএ জোটের প্রার্থীর জয়ের ছবিটাও এক। চিরাগ পাসোয়ানের দলের ঠেলায় নাভিঃশ্বাস উঠেছিল জেডিইউয়ের। কোনওক্রমে ১১৩ ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়েছেন সুদর্শন কুমার। যিনি গতবার কংগ্রেসের টিকিটে ১৫,৭১৭ ভোট জিতেছিলেন। এবার তাঁর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল এলজেপি। যে দলের প্রার্থী ১৫.৭৫ শতাংশ ভোট টেনেছেন।
একনজরে দেখে নিন কোন ১১ আসনে জয়ের ব্যবধান ১,০০০-এর কম?
সার্বিকভাবে এবার সমানে-সমানে লড়াই হয়েছে। ১২৫ আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে এনডিএ জোট। তার মধ্যে ৭৪ টি আসনে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। জেডিইউয়ের ঝুলিতে এসেছে মাত্র ৪৩ টি আসন। নীতিশের দলের অবস্থা এতটাই খারাপ যে একক বৃহত্তম দলের তালিকা তৃতীয় স্থানে আছে জেডিইউ (হাতেগানো আসন নিয়ে)। অন্যদিকে ৭৫ টি আসন পেয়ে বিহারের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছে আরজেডি। কিন্তু তেজস্বী যাদবদের কার্যত ডুবিয়েছে কংগ্রেস। বামরা অক্সিজেন দিলেও চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে সোনিয়া-রাহুল গান্ধীদের দল। ৭০ আসনে লড়ে কংগ্রেস প্রার্থীরা জিতেছেন মাত্র ১৯ টি আসনে। আর সেটাই সম্ভবত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং ‘মহাগঠবন্ধন’-এর মধ্যে পার্থক্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।