চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হতে চলল। কিন্তু এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড় আরজেডি। তেজস্বী যাদবের দলের অভিযোগ, ভোটে জেতার জন্য জোচ্চুরি করেছে এনডিএ। কমপক্ষে ১০-১১ টি আসনের গণনায় কারসাজিরও অভিযোগ তোলা হয়েছে। যেখানে নাকি আরজেডির জয় নিশ্চিত ছিল।
বিহার ভোটের ফলাফল নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি ‘মহাগঠবন্ধন’-এর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী। তবে আরজেডির রাজ্য সভাপতি জগদানন্দ সিংয়ের মতে, নির্বাচনের ফলাফলকে কোনওভাবেই মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের পক্ষে জনমত হিসেবে দেখা যাবে না। কারণ জোটসঙ্গী হিসেবে এনডিএতে জেডিইউয়ের অবস্থা শোচনীয় হয়ে গিয়েছে। ছোটো জোটসঙ্গীতে পরিণত হয়েছে নীতিশের দল।
এবারের নির্বাচনে আরজেডির অন্যতম ভোট-কৌশলী বলেন, ‘এই নির্বাচনে জেতার জন্য অর্থ, পেশিশক্তি এবং জোচ্চুরির পথ অবলম্বন করেছে এনডিএ। কিন্তু বিহারের মানুষ তেজস্বীর সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন। যিনি নিজের ক্ষমতায় নেতা হিসেবে উঠে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, (অন্যান্য রাজ্যের) মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ এনডিএয়ের হেভিওয়েটদের বিরুদ্ধে একা হাতে প্রচার চালিয়েছেন।’
আরজেডির রাজ্য সভাপতি দাবি করেছেন, অনেক বিধানসভা কেন্দ্রে একটা সময় এগিয়ে ছিল আরজেডি। তারপরও হারতে হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘বুথফেরত সমীক্ষায় আমাদের ১২৭-১৩৫ আসনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য আমরা কারচুপির সন্দেহ করছি। গণতন্ত্রের জন্য এটা ভালো বিষয় নয়।’
তবে আরজেডির অভিযোগে পাত্তা দিতে নারাজ নীতিশের দল। জেডিইউয়ের রাজ্য সভাপতি বশিস্ত নারায়ণ সিং বলেন, ‘হেরে গেলেই প্রযুক্তিগত কারণকে দোষারাপ করা এবং অভিযোগ তোলা হল ওদের পুরনো স্বভাব।’ একইসুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল দাবি করেছেন, হেরে যাওয়ার পর অজুহাত দিচ্ছে আরজেডি।