করোনার ভরা বাজারে বিহারে ভোট করা নিয়ে এবার আপত্তি জানালেন লোক জনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাসওয়ান। এর আগে প্রধান বিরোধী দলনেতা আরজেডির তেজস্বী যাদবও বলেছিলেন এখন ভোট হওয়া উচিত নয়। নির্বাচন কমিশন যদিও বলেছে নির্ধারিত সময় ভোট করা হবে।
এদিন চিরাগ পাসওয়ান বলেন এলজেপি ভোটের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু যেখানে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে ভোট করলে মানুষকে বিপদে ফেলে দেওয়া হবে বলেই তিনি জানান। তিনি বলেন এখন এমনিতেই মহামারীর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে টাকা নেই। এরমধ্যে ভোট করলে অতিরিক্ত বোঝা বাড়বে।
অন্য একটি টুইটে তিনি বলেন ভোট হলেও হয়তো খুব কম লোকই আসবেন, যেটা গণতন্ত্র্রের পক্ষে শুভ নয়। নির্বাচন কমিশনের এটা ভেবে দেখা উচিত যে জনসংখ্যার একটা বড় অংশকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হবে ভোট হলে বলেও তিনি জানান।
এর আগে তেজস্বী যাদব ভোট পিছিয়ে দিতে বলেছিলেন। তিনি নীতিশ কুমারকে জিজ্ঞেস করেন যে লাশের ওপর দাড়িয়ে কী ভোট করা হবে। যখন করোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকা উচিত তখন মুখ্যমন্ত্রী কেন ভার্চুয়াল সভা করছেন সেই প্রশ্নও করেন তিনি। প্রধান শাসক দল জেডিইউ ও বড় শরিক বিজেপি যদিও আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে তারা ভোটের পক্ষে।
অক্টেবর-নভেম্বরে বিহার নির্বাচন। তার জন্য যাবতীয় পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি ঠিকঠাক এগোচ্ছে বলেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ভোটদানের প্রক্রিয়া সাঙ্গ করা যায়, সেই নিয়েও পরিকল্পনা করছে ইসি।
তবে অনেক রাজনৈতক পর্যবেক্ষক আবার তেজস্বী ও চিরাগ যেভাবে এক সুরে কথা বলছেন তাতে অন্য অর্থ খুঁজছেন। হাল আমলে পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছেন শরিক দলের নেতা তেজস্বী। অন্যদিকে আরজেডি জোট ছাড়ার মুখে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝির দল হ্যাম। ভোটের আগে বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।