প্রেমে পড়লে মানুষ টুকটাক পাগলামি করে। কিন্তু সেই পাগলামিতেও একটা সীমা থাকে। কিন্তু কেউ কেউ প্রেমে অন্ধ হয়ে যায়। এমনই এক উদ্ভট ঘটনা ধরা পড়ল বিহার। সেখানকার এক গ্রামের ইলেকট্রিশিয়ান নিয়মিত বিদ্যুত্ সরবরাহের প্রধান তার কেটে দিতেন। অর্থাত্ ইচ্ছা করেই গ্রামে লোডশেডিং করাতেন। কেন? যাতে অন্ধকারে প্রেমিকার সঙ্গে একটু মাখোমাখো প্রেম করা যায়।
ঘটনাটি পূর্ব বিহারের পূর্ণিয়া জেলার গণেশপুর গ্রামের। গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে সন্ধ্যার একটি নির্দিষ্ট সময়ে ২-৩ ঘণ্টা লোডশেডিং হতে শুরু করে। এদিকে আশেপাশের গ্রামে তখন কারেন্ট থাকত।
এদিকে বিদ্যুত্ সরবরাহের অফিসেও সকলে বিভ্রান্ত। কে, কেন রোজ রোজ বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছেন? শুরু হয় খোঁজ।
গ্রামবাসীদেরই কয়েকজন মিলে নজরদারি শুরু করেন। আর সেই সময়েই দেখা যায়, সন্ধ্যাবেলায় স্থানীয় এক সরকারি স্কুলের কাছে বিদ্যুত্ সরবরাহের লাইন বন্ধ করছেন এক ইলেকট্রিশিয়ান। সঙ্গে সঙ্গে সবাই মিলে গিয়ে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরপরেই গ্রামবাসী বেজায় চটে যায়। ইলেকট্রিশিয়ানকে তুমুল মারধর করা হয়। শাস্তি তাকে গ্রামজুড়ে রাস্তায় হাঁটানো হয়। চাপে পড়ে ওই ব্যক্তি জানান, চারিদিকে আলো। ফলে রাস্তাঘাটে প্রেমিকার সঙ্গে বের হতে পারতেন না। তাই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে লোডশেডিং করিয়ে যেতেন তিনি।
এটা শোনার পর গ্রামবাসীদের একাংশ বেজায় চটে যায়। তবে কেউ কেউ জানান, এর একটাই বিহিত হতে পারে। তা হল বিয়ে। এরপর ওই ব্যক্তির প্রেমিকাকে এনে দু'জনের বিয়ে দিয়ে দেন তাঁরা।
গ্রামবাসী মারার রাম মুর্মু বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'সরপঞ্চ ও অন্যান্য গ্রাম পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে ওই ব্যক্তিকে মেয়েটির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাননি। স্থানীয় থানার ইনচার্জ বিকাশ কুমার আজাদ বলেন, 'আমরা ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'