মিলল ছাড়পত্র। আগামী অর্থবর্ষ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা দিল বিহার সরকার। বিহার পঞ্চায়েত রাজ আইন, ২০০৬ মেনে ঠিক কতটুকু রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা দেওয়া হবে তা স্থির করছে নীতিশ কুমার সরকার।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সবচেয়ে তলার স্তর গ্রাম পঞ্চায়েত। সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে এবার থেকে বাজার, হাট, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত গাড়ি যেমন ট্র্যাক্টর-ট্রাক ও জলের বাণিজ্যিক ব্যবহারের উপর কর আরোপের ক্ষমতা থাকবে। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি সংস্থা গ্রামে টাওয়ার বসালে সেক্ষেত্রেও কর আরোপ করতে পারবে গ্রাম পঞ্চায়েত। এমনই তথ্য দিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিহারের এক সরকারি আধিকারিক।
পঞ্চায়েত রাজ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, 'সকল গ্রাম পঞ্চায়েত যাতে নিজের খরচের জন্য প্রয়োজনীয় রাজস্ব নিজেরাই সংগ্রহ করতে পারে, তার জন্যই এই ক্ষমতা প্রদান করা হচ্ছে। আপাতত নিয়ম-নীতির ব্লুপ্রিন্ট তৈরী করে তা ক্যাবিনেট-এ অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। আগামী বছর থেকেই এটি প্রযোজ্য হবে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই এটি চালু করা হবে।'
বিহারের পঞ্চায়েতী রাজ দফতরের মন্ত্রী সম্রাট চৌধুরি বুধবার জানান, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। কর আরোপের ক্ষেত্রে যে যে নিয়ম-নীতি মানতে হবে, তাই নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। পরবর্তী পর্যায়ে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের হাতেও এ ধরণের ক্ষমতা তুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
বিহারে মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৮,৩৮৬। রাজ্যের পঞ্চায়েতি রাজ আইন অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে বাণিজ্য, পেশা, জীবিকা, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, জল, আলো ইত্যাদি ক্ষেত্রে কর সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মতোই বিহারেও গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্থের মূল উত্স কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রেরিত টাকা। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে ২ কোটি টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়নেও অর্থ প্রদান করা হয়।