বিনামূল্যে আইসক্রিম না দেওয়ায় প্রকাশ্যে বিক্রেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিহারের ভাগলপুরে। মৃত আইসক্রিম বিক্রেতার নাম দুখন তাঁতি। তিনি সাবৌর থানা এলাকার সারধার বাসিন্দা।জানা গেছে, লোদিপুর থানা এলাকার জিছো পুকুরের কাছে সাত দিনব্যাপী ভাগবত কথার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই উপলক্ষে এলাকায় আইসক্রিম বিক্রি করতে এসেছিলেন দুখন তাঁতি।
আরও পড়ুন-UP:শ্যালিকার প্রেমে হাবুডুবু, স্ত্রীকে সরাতে দুর্ঘটনার নাটক! গ্রেফতার স্বামী ও বন্ধু
জানা গেছে, সোমবার রাতে পাণ্ডব যাদব নামে এক ব্যক্তি দুখনের কাছে আসে। এরপর তাঁর কাছ থেকে বিনামূল্যে আইসক্রিম চাইতে শুরু করেন। কিন্তু দুখন টাকা ছাড়া আইসক্রিম দিতে বারবার অস্বীকৃতি জানায়।তারপরেই পাণ্ডব ক্ষুব্ধ হয়ে পকেট থেকে দেশীয় পিস্তল বার করে সরাসরি আইসক্রিম বিক্রেতার মুখে গুলি চালিয়ে দেয়। এরপর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে, গুলির শব্দে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় আইসক্রিম বিক্রেতাকে উদ্ধার করে মায়াগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত পলাতক।অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। তাকে পাকড়াও করতে নিকটবর্তী থানারও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে সিনিয়র পুলিশ সুপার হৃদয় কান্ত বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে দু'জনকে হেফাজতে নিয়েছি। ওই ধর্মীয় সমাবেশে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে এমন ঘটনাটি ঘটল তা আমরা খতিয়ে দেখছি।যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি।'
আরও পড়ুন-UP:শ্যালিকার প্রেমে হাবুডুবু, স্ত্রীকে সরাতে দুর্ঘটনার নাটক! গ্রেফতার স্বামী ও বন্ধু
অন্যদিকে, প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করে। পরে পুলিশের আশ্বাসে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত পাণ্ডব যাদব একজন মাদকাসক্ত এবং তার বাবা কপিল যাদবও মাদকাসক্ত।তাদের দাবি, পাণ্ডব ওই আইসক্রিম বিক্রেতার কাছে হয়তো চাঁদা চেয়েছিল, কিন্তু দুখন দিতে না চাওয়ায় তাকে গুলি করে হত্যা করে। এদিকে নিহত যুবকের মা সুমা দেবী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি খবর পেয়েছি যে আমার ছেলেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। ছেলের সঙ্গে কারুর কোন শত্রুতা বা বিরোধ ছিল না। আমরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছই, ততক্ষণে লোকেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।'