জোর করে বিল পাশ করানোর অভিযোগে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। আর তারপরেই পুলিশকর্মীদের দিয়ে মারধর করে বিহার বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হল বিরোধীদের।
বিক্ষোভের সূত্রপাত ‘বিহার স্পেশাল আর্মড পুলিশ বিল, ২০২১’-কে কেন্দ্র করে। বিরোধীদের অভিযোগ, এটি আইনে পরিণত হলে বিনা ওয়ারেন্টেই যে কোনও ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারবে পুলিশ। শুধু তাই নয়, কেবলমাত্র সন্দেহের বশেই করা যাবে গ্রেফতার। ফলে, জনগণের সাংবিধানিক অধিকার বিঘ্নিত হবে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
রাষ্ট্রীয় জনতা দল-সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, বিধানসভার অধিবেশনে তাঁদের মতামত গ্রাহ্যই করা হয়নি। এরপরেই প্রতিবাদে সরব হন তাঁরা। শেষমেশ বিধানসভা কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা।
এরপরেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। সমানাধিকারের দাবিতে স্পিকারকে ঘিরে ধরেন বিরোধী বিধায়করা। প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁকে ঘেরাও করা হয়। চলতে থাকে স্লোগান।
এরপরেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিধানসভায় প্রবেশ করে পুলিশ ও অ্যান্টি-রায়ট ফোর্স। টেনে-হিঁচড়ে এক এক করে বের করে দেওয়া হয় প্রতিবাদরত বিরোধী বিধায়কদের। সেই সময়ে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। পুলিশের মারে আহত হন বিধায়ক সতীশ কুমার। মাথায় গুরুতর চোট লাগে তাঁর। স্ট্রেচারে করে বের করা হয় তাঁকে।
শুধু তাই নয় আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব ও তাঁর ভাই তেজ প্রতাপ যাদবকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরপরেই অবশ্য আবার স্বাভাবিক ছন্দে শুরু হয়ে যায় অধিবেশন। সরকার পক্ষের হয়ে জবাব দিতে শুরু করেন বিহারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীজেন্দ্র প্রসাদ। সেই সময়েই বাকি বিরোধী বিধায়করাও ওয়াক আউট করেন। বিনা বাধাতেই বিলটি বিধানসভায় পাশ হয়ে যায়।
বিহার বিধানসভা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠার একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তেজস্বী যাদব স্বয়ং। দেখুন সেই ভিডিয়ো।
ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব রাজনৈতিক মহল থেকে আমজনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার নামে পুলিশ কীভাবে এতটা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সেই সঙ্গে গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার অভিযোগেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা।