বিহারে ফের ‘চাচা-ভাতিজা’ সরকার গঠনের ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। অগ্নিপথ থেকে জাতিশুমারির মতো ইস্যুগুলিতে বিরোধী আরজেডির সুরে সুর মেলাতে শোনা গিয়েছিল জেডিইউ-কে। গত এপ্রিল মাসে আরজেডির ইফতার পার্টিতেও দেখা গিয়েছিল নীতীশ কুমারকে। এই একই সময় বিজেপির সঙ্গেও দূরত্ব বাড়ছিল জেডিইউ-র। এরই মাঝে মঙ্গলবার রাতারাতি এনডিএ-র সরকার পড়ে যায় বিহারে। সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার কয়েক ঘণ্টা পরই আরজেডি, কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গঠনের দাবি জানান নীতীশ। আজ তিনি অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। তবে এই গোটা ঘটনাপ্রবাহের সংলাপ লেখা হচ্ছিল গত দুই মাস ধরে।
জানা গিয়েছে, বিহারের পালাবদল নিয়ে বিগত দুই মাস ধরে আলোচনা চলছিল লালু প্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার এবং কংগ্রেসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের। কোন দল কোন দফতর পাবে, সেই সব কিছু চূড়ান্ত করার পরই বিজেপির হাত ছেড়ে দেন নীতীশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিহারের এক প্রাক্তন মন্ত্রী হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ১৫ দিন আগেই ‘চুক্তি’ চূড়ান্ত হয়েছিল নীতীশ ও লালুর মধ্যে। তিনি আরও জানান, বিগত দুই মাস ধরেই গোপনে আলোচনা চলছিল তিন দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, নীতীশের গতিবিধি বিজেপির নজর এড়ায়নি। তবে তারা নীতীশকে আটকানোর চেষ্টাও করেনি। এদিকে গত ২২ এপ্রিল রাবড়িদেবীর বাসভবনে ইফতার পার্টির পর লালু পুত্র তথা আরজেডি বিধায়ক তেজ প্রতাপ যাদব দাবি করেছিলেন যে আরজেডি শীঘ্রই সরকার গঠন করতে চলেছে বিহারে। এদিকে শিবির বদল করে নীতীশ কুমারের এই সাফল্য আগামী ২০২৪ সালে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসাবেও উপস্থাপিত করতে পারে। তবে বারংবার রাজনৈতিক ডিগবাজির জেরে নীতীশের বিশ্বাসযোগ্যতায় চিড় ধরতে পারে।