বিতর্কের সূত্রপাত সপ্তম শ্রেণির প্রশ্নপত্র নিয়ে। সেখানে ইংরেজি ভাষার প্রশ্নপত্রে বিভিন্ন দেশের অধিবাসীদের কী বলে সম্বোধন করা হয়, তা জানতে চাওয়া হয়। সেখানে কাশ্মীর সম্পর্কে লেখা হয় ‘কাশ্মীরের মানুষকে কী বলে সম্বোধন করা হয়’। প্রসঙ্গত এই প্রশ্নপত্র ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমালোচকদের দাবি, এই প্রশ্নপত্রে কাশ্মীরকে আলাদা দেশ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
এই প্রশ্নপত্র উঠে এসেছে বিহারের কিষাণগঞ্জের এক স্কুলে। দেখা যাচ্ছে, প্রশ্নপত্রে, চিন, নেপাল, ইংল্যান্ড, ভারতের অধিবাসীদের কী বলা হয়, সেই প্রশ্নের পাশাপাশি প্রশ্ন করা হয়েছে ‘কাশ্মীরের অধিবাসীদের কী বলা হয়?’ এই ঘটনার পর থেকে গোটা ইস্যুটি রাজনৈতিক রঙ নিয়ে নিয়েছে। এই 'ভুল'কে নির্দিষ্ট করে বিজেপি নিন্দায় সরব হয়েছে। বিজেপির অভিযোগের আঙুল গিয়েছে নীতীশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, এর আগে নীতীশ সরকারের অংশ ছিল বিজেপি। সদ্য বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া থেকে বেরিয়ে যায় নীতীশ কুমারের জেডিইউ। তারপর থেকেই নীতীশ বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, নীতীশ কুমারের পার্টি হাত ধরে লালু প্রসাদের আরজেডির সঙ্গে। আর সেই মহাজোটই বর্তমানে বিহারের গদিতে আসীন।
এদিকে, কিষাণগঞ্জে বিজেপির জেলা সভাপতি সুশান্ত গোপ জানিয়েছেন, ‘এটি হল মহাজোটের তোশামদের রাজনীতি। শিশুদের মনে কাশ্মীর ও ভারতকে আলাদা বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। সামনের ভোটে নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক ভোটের জন্য এটি ষড়যন্ত্র।’ এদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই প্রশ্ন ভুলভাবে প্রিন্ট হয়েছে। মূল প্রশ্নটি ছিল ‘কাশ্মীর থেকে আসা মানুষদের কী বলে সম্বোধন করা হয়?’ উল্লেখ্যস ২০১৭ সালেও এমনই এক বিতর্ক তৈরি হয়। এই নিয়ে এই প্রশ্নপত্রের বিতর্ক দ্বিতীয়।