রীনা সোপাম
বাংলা পাঠ্যপুস্তকের ভয়াবহ আকাল। আর তার জেরে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে বিহারে বসবাসকারী বাংলাভাষী পড়ুয়ারা। মূলত যারা বিহারে বাংলায় পড়তে চাইছে তারা কোথাও বাংলা বই পাচ্ছেন না। এমনটাই সূত্রের খবর। কারণ গত কয়েকবছরে বিহারে বাংলা বই সেভাবে ছাপা হয়নি। এমনকী বহু স্কুলে বাংলার শিক্ষকও নেই। যার ফল ভুগতে হচ্ছে বাংলা ভাষাভাষি পড়ুয়াদের।
এদিকে বিহারে অন্তত ১৪ লাখ বাংলাভাষী মানুষ থাকেন। মূলত পূর্ণিয়া, কাটিহার, কিষানগঞ্জ, আরারিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ,মুঙ্গেল. ভাগলপুরে প্রচুর বাংলাভাষি মানুষ থাকেন। এদিকে সেই রাজ্যেই বাংলা পাঠ্যপুস্তক কার্যত অমিল হয়ে গিয়েছে। বিহার বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা স্টেট মাইনরিটি কমিশনের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ দিলীপ সিনহা বলেন, বাঙালিদের বিহারে সংখ্যালঘু বলে ধরা হয় আর সেটাও ভাষার নিরিখে। কিন্তু অজানা কারণে বাংলা ভাষাকে কোণঠাসা করে রাখা হয়। বর্তমান শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বই, শিক্ষক ছাড়া তা কীভাবে সম্ভব?
বিহার বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুনির্মল দাস জানিয়েছেন, বিহার এডুকেশন প্রজেক্ট কাউন্সিল ২০১৮-১৯ সেশনে পাঠ্যপুস্তক কেনার কথা ঘোষণা করেছিল। বই বিক্রেতাদের তারা হিন্দি, উর্দু, ইংরাজি বইয়ের কথা বলেছিল। কিন্তু সেই তালিকায় বাংলার কথা উল্লেখ নেই। এখানেই প্রশ্ন, পড়ার বই ছাড়া কীভাবে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করবে? এদিকে ২০০৭-০৮ সালে বাংলায় বই ছাপানোর জন্য ওয়েস্ট চম্পারনে বাঙালিরা অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সেবার বই কম্পোজ করা হয়েছিল। কিন্তু ছাপানো হয়নি।
তবে বিহার টেক্সট বুক কর্পোরেশনের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ভূষণ কুমার জানিয়েছেন, ছাপার ব্যাপারটা পুরোপুরি আউটসোর্সিং হয়ে গিয়েছে। বিইপি যে তালিকা দেয় সেই অনুসারে ছাপার জন্য বলা হয়। কিন্তু তাতে বাংলার কথা উল্লেখ নেই।