অবিনাশ কুমার
গোয়ালিয়র- বারাউনি এক্সপ্রেস (11123)কে বিহারের সিওয়ানে রেলওয়ে ক্রশিংয়ের কাছে দাঁড় করিয়ে রেখে চা খেতে গিয়েছিলেন লোকো পাইলট। এনিয়ে নানা কথা উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। সেই রেশ ফুরানোর আগে এবার সমস্তিপুর- সহর্ষ প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে দাঁড় করিয়ে রেখে মদ খেতে গেলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট। আর সেটাও আবার মদহীন বিহারে। প্রায় ঘণ্টাখানেক ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনায় রেল দফতরের পদস্থ কর্তারাও হতবাক হয়ে গিয়েছেন। এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেলদফতর।
সূত্রের খবর সোমবার সন্ধ্যায় সমস্তিপুর থেকে সহর্ষের দিকে যাচ্ছিল ট্রেন নম্বর 05278। হাসানপুর রোড স্টেশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট আচমকাই ট্রেন ছেড়ে নেমে যান। এদিকে সময় ক্রমশ পেরতে থাকে। কোথায় গেলেন তিনি? আসলে তিনি গিয়েছিলেন মদ কিনতে। অভিযোগ এমনটাই।
এদিকে রাজধানী এক্সপ্রেস যাবে বলে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। পরে গ্রিন সিগন্যালও দেওয়া হয়। কিন্তু ট্রেন আর নড়ে না। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে থাকে। এক জিআরপির আধিকারিক জানিয়েছেন, মনে হয় ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট দুর্গা মন্দিরের কাছে একটি চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি মদ খেয়েছিলেন।
এদিকে হাসানপুর স্টেশনে ঠায় দাঁড়িয়েছিল প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। এরপর স্টেশন মাস্টার মনোজ কুমার চৌধুরী সহর্ষের অপর এক লোকো পাইলট ঋষি রাজ কুমারকে অনুরোধ করেন অপর অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটকে নিয়ে ট্রেনটি ছাড়তে।
অন্যদিকে হাসানপুর বাজারে দেখা যায় করমবীর প্রসাদ যাদব নামে ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট মদ খেয়ে তুমুল মাতলামো করছেন। তাকে জিআরপি ধরে নিয়ে আসে। তার কাছ থেকে মদের বোতলও পাওয়া গিয়েছে। সমস্তিপুরের ডিআরএম অলোক আগরওয়াল বলেন, তদন্ত শেষ করে ওই স্টাফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।