মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধের আকাল দেখা দিয়েছে বিহারে। এই পরিস্থিতি বিহার সরকার সিদ্ধান্ত নিল যে এখন থেকে বেসরকারি হাসপাতালে আর বিনামূল্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ সরবরাহ করা হবে না। এদিকে এই সিদ্ধান্তের জেরে বেকায়দায় পড়েছে রোগী এবং তাঁদের পরিবার। একেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ইনজেকশনটি দামী। তার উপর তা পাওয়াও কঠিন। এই আবহে সরকারী সরবরাহের উপরই ভরসা ছিল রোগীদের।
এই আবহে বিহারের বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে জানানো হয়েছে যে তারা অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ইনজেকশনটি ৪ থেকে ৭ হাজার টাকার রেঞ্জে কিনছেন। ব্র্যান্ডের কারণে দামের হেরফের হতে পারে। সেই টাকা তারা রোগীর পরিবার থেকে নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালগুলির দাবি, যে দামে তাঁরা ইনজেকশনটি কিনছেন, সেই দামেই তা রোগীকে দেওয়া হচ্ছে। আলাদা কোনও চার্জ বসানো হচ্ছে না। বিগত ১০ দিন ধরেই নাকি বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছিল এই অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ইনজেকশনটি। তবে ইনজেকশনের আকালের কারণে এখনও সরকারের উপরই নির্ভরশীল বেসরকারি হাসপাতালগুলি। সরকারের থেকেই টাকা দিয়ে ওষুধ কিনছে তারা।
এদিকে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রোগীরা এখনও বিনামূল্যেই অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ইনজেকশন পাচ্ছেন। তবে সরকারের উপর নির্ভর না করে থেকে পটনা এইমস এই ইনজেকশনটি সরাসরি উত্পাদনকারীদের থেকে কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত বিহারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ৫১৩টি কেস সামনে এসেছে। এর মধ্যে ৫৫ জন রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও সেরাজ্যে চিকিত্সাধীন রয়েছেন ৩৬৮ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগী। তবে বিহারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ভয়বহতা নিয়ে সরকার যেন চুপচাপ। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।