ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় ৩১ জন মাওবাদীকে খতম করা হয় ৯ ফেব্রুয়ারির এক অভিযানে। সেই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন ৬০০ কমান্ডো। আর সেই অভিযানের পরিকল্পনা চলেছিল ১৫ দিন ধরে। এমনই তথ্য জানা যাচ্ছে রিপোর্ট মারফত। কীভাবে গভীর জঙ্গলে মাওবাদীদের ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা? রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কমান্ডোদের মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলার জঙ্গল দিয়ে ঢোকানো হয়েছিল মাওবাদী এলাকায়। সেখান দিয়ে তারা জঙ্গলেই রাজ্য সীমানা পার করে মাওবাদী ক্যাডারদের ঘিরে ফেলেন বিজাপুরে। রবিবারের অভিযানে মৃত মাওবাদীরা প্রধানত সিপিআই (মাওবাদী)-র পশ্চিম বস্তার বিভাগের মান্ডেড এরিয়া কমিটির সদস্য ছিল। (আরও পড়ুন: মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের আগে শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা করছে ভারত: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: যেভাবে হাসিনাকে সরাতে টাকা দিয়ে থাকতে পারে US AID, চাঞ্চল্যকর দাবি রিপোর্টে
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৫ দিন ধরে এই অভিযানের পরিকল্পনা চলছিল। এরপর গত বৃহস্পতিবার সকালে ডিআরজি, এসটিএফ এবং বস্তার যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত বাহিনী গড়চিরোলি জেলার জঙ্গল দিয়ে মাওবাদীদের ঘাঁটির দিকে যাত্রা শুরু করে। এছাড়া আরও বিভিন্ন পথ দিয়ে বনে প্রবেশ করেন কমান্ডোরা। ছত্তিশগড় পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, ডিআরজি, এসটিএফ এবং বস্তার ফাইটার গোষ্ঠীর অধিকাংশ সদস্যই স্থানীয় ছিলেন বা আত্মসমর্পণ করা মাওবাদী। এই আবহে এই জঙ্গল সম্পর্কে তারা ভালো ভাবে ওয়াকিবহাল ছিলেন। (আরও পড়ুন: DA নিয়ে সুখবর দিয়েছিলেন CM, তবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে বেতনই ঢুকছে না)
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঘটনায় ভারতের বিবৃতিতে বদহজম, 'ব্যর্থতা ঢাকতে' বাংলাদেশ বলছে…
এডিজি (নকশাল অপারেশন) বিবেকানন্দ সিনহা বলেন, যে জঙ্গলে অপারেশনটি হয়েছিল সেটি মাওবাদীদের পশ্চিম বস্তার বিভাগে। সেই অংশটি মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল ছিল। সেখানে জঙ্গলের ততটা গভীরে এর আগে নিরাপত্তারক্ষীরা কখনও যায়নি। এই আবহে ১৫ দিন ধরেই এই অভিযানের ছক কষা হয়। মহারাষ্ট্র পুলিশ রাজ্যের সীমানায় ইন্দ্রাবতী নদীর কাছে ৬০০ কমান্ডোকে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে আসতে সম্মত হয়। এডিজি বলেন, এই অভিযানে আমরা আমাদের দু'জন জওয়ানকে হারিয়েছি। তবে এই অপারেশন সফল হয়েছে। শহিদ জওয়ানদের বলিদান বিফলে যায়নি। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে অটোমেটিক রাইফেল-সহ প্রচুর অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে কয়েকদিন আগেই ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলা থেকে বিস্ফোরক নিয়ে দুই মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়। কেরলাপাল এলাকায় টহলদারির সময় ওই দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিন কেজির ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস এবং দুটি ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছিল সেই অভিযানে। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি বিজাপুরেই গুলির লড়াইয়ে আট মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল। ২০ জানুয়ারি ওড়িশা-ছত্তিশগড় সীমান্তের একটি জঙ্গলে ১৬ জন মাওবাদীকে নিকেশ করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তার আগে গত ১৬ জানুয়ারি আবার ১৮ মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল।