শনিবার মুম্বইয়ে এক বাইক চালককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে অটো চালকদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ৯ জনকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। অভিযুক্তরা পাথর দিয়ে আঘাত করে হায়দরাবাদের বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সি যুবক আকাশ মইনকে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরেই তদন্তে নেমে ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: এয়ার হোস্টেস খুনে অভিযুক্তের নিথর দেহ মিলল লক আপে, মুম্বই খুনে নয়া মোড়
জানা গিয়েছে, আকাশ একটি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল ব্যবসা চালাতেন। স্ত্রীর সঙ্গে তিনি হায়দরাবাদে থাকতেন। আর তাঁর বাবা মা থাকেন মুম্বইয়ে। পুজোয় বাবা-মায়ের কাছে এসেছিলেন। গত শনিবার ওই দম্পতি একটি নতুন স্কুটার কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। মইনের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী। তাদের পিছনে অটোয় যাচ্ছিলেন তার বাবা-মা। সন্ধ্যা ৬.৩০ টার দিকে যখন তারা শিবাজি চকের অভ্যুদয় ব্যাঙ্কের উল্টোদিকে মালাড (পূর্ব) রেলস্টেশনের কাছে পৌঁছয়। তখন একটি অটোরিকশা চালকের সঙ্গে মইনের বচসা বাঁধে। অভিযোগ, চালক গাড়িটি মইনের সামনে রেখেছিল। তাই নিয়ে বচসার জেরে অটোরিকশা চালক ও তার দুই বন্ধুকে মইন মারধর করে বলে অভিযোগ। এর পরে অটোরিকশা চালক এবং তার দুই বন্ধু আরও কয়েকজনকে ডেকে একসঙ্গে মইনকে মারধর করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ঘটনার ভিডিয়োগুলিতে দেখা যাচ্ছে মইনের মা ছেলেকে আক্রমণের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যায় অটোচালকরা। এদিকে, গুরুতর আহত অবস্থায় মইনকে ট্রমা কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পা, হাত, পেট ও কোমরে গুরুতর আঘাত লাগে। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
পরে স্ত্রী অনুশ্রী মইনের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার দিন্দোশি থানার পুলিশ একটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত করে। ঘটনায় একাধিক দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শেষে তল্লাশি চালিয়ে ৯ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ৬ জনের নাম- অবিনাশ নামদেব কদম, অমিত জোগিন্দর বিশ্বকর্মা, আদিত্য দীনেশ সিং, জয়প্রকাশ দীপক আমতে, রাকেশ মালকু ধাওয়ালে এবং সাহিল সিকান্দার কদম।
অবিনাশ কদমের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পন্তনগর এবং বোরিভালি থানায় আঘাত ও দুর্ঘটনার জন্য মামলা দায়ের রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আদিত্য সিং এবং জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে দিন্দোশি থানায় একটি হামলার মামলা রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের ব্যবহৃত পাথরও উদ্ধার করেছে পুলিশ।সমস্ত অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাদের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।