বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গুজরাট সরকার আজ এক হলফনামা পেশ করে শীর্ষ আদালতে। হলফনামায় সরকার জানায়, বিলকিস বানোর ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ অপরাধীকে ভালো ব্যবহারের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতিতেই ছাডা হয়েছিল। জানানো হয়, গুজরাট সরকারকে এই সংক্রান্ত অনুমতি দিয়ে গত ১১ জুলাই কেন্দ্রের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বিলকিস বানোর গণধর্ষকদের গত ১৫ অগস্ট মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে। এই আবহে সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য সুভাষিণী আলি, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং অন্য একজন আদালতে এই ১১ জনের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। এদিকে দোষীদের মুক্তি দেওয়ার প্রসঙ্গে নির্যাতিতা বিলকিস বানো বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাঁর থেকে কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি বা তাঁকে এই বিষয়ে জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের মার্চ মাসে দাহোদ জেলায় লিমখেড়া তালুকায় রাধিকাপুর গ্রামে একদল দুষ্কৃতী বিলকিস বানোর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিল। গণধর্ষণ করা হয় বিলকিসকে৷ তাঁর পরিবারের ৭ জন সদস্যকে খুন করা হয়৷ পরিবারের অন্য ৬ জন সদস্য পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন৷ পরে ২০০৪ সালে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিশেষ সিবিআই আদালত বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের গণহত্যার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১১ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসের আদেশ ঘোষণা করেছিল। তবে এই বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার পঞ্চমহলের কালেক্টর সুজল মায়াত্রার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দোষীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। সর্বসম্মতিক্রমে কারাবাসের সময় হ্রাসের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় কমিটিতে। সেই মতো স্বাধীনতা দিবসের দিন দোষীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।