বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Bilkis Bano Case: 'এটাই কি অমৃত মহোৎসব?', বিলকিস বানো গণধর্ষণের দোষীদের মুক্তি ইস্যুতে তোপ BJP-কে

Bilkis Bano Case: 'এটাই কি অমৃত মহোৎসব?', বিলকিস বানো গণধর্ষণের দোষীদের মুক্তি ইস্যুতে তোপ BJP-কে

বিলকিস বানো গণধর্ষণকাণ্ডের দোষীরা মুক্তি পেয়েছে (PTI)

বিলকিস বানো গণধর্ষণকাণ্ডের দোষীরা মুক্তি পেয়েছে স্বাধীনতা দিবসে। আর তাই নিয়ে বিরোধীদের তরফে তোপ দাগা হচ্ছে বিজেপি সরকারকে।  

২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। এই আবহে এটা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধী এবং সমাজের বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি দাবি করেছেন গোধরা জেল থেকে এই ১১ জনের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বেআইনি। যদিও গুজরাট সরকার দাবি করেছে, সব নিয়ম মেনেই দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে জেল থেকে।

গোধরা কাণ্ডের পর বিলকিস বানোর পরিবারের ৭ জন সদস্যকে হত্যা এবং গর্ভবতী বিলকিসকে গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল এই ১১ জন। এর জেরে যাবজ্জীবন সাজা হয় তাদের। এই আবহে দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গোধরা কারাগার থেকে এই ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সচিনের ‘বিদ্রোহী সুরে’ কাটল তাল, দলিত শিশুর মৃত্যু নিয়ে পুলিশের দাবি ঘিরে জল্পনা

কংগ্রেসের অভিযোগ, বিলকিস বানো গণধর্ষণের দোষীদের মুক্তি দিয়ে বিজেপি নিজেদের আসল রূপটা দেখিয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা এই বিষয়ে বলেন, ‘লাল কেল্লার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নারীর নিরাপত্তা, নারী শক্তি, নারীর সম্মান নিয়ে বড় বড় কথা বলেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই গুজরাট সরকার গণধর্ষণের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের ছেড়ে দেয়। আমরা আরও দেখেছি যে, ধর্ষনের দণ্ডপ্রাপ্তরা মুক্তি পাওয়ার পর তাদের সম্মান দেওয়া হচ্ছে। এটাই কি অমৃত মহোৎসব?’

এই ঘটনা প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি টুইট করে লেখেন, ‘এটি আজাদি কা অমৃতের বিজেপির সংস্করণ। জঘন্য অপরাধে দোষী ব্যক্তিদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। একটি ধর্মের প্রতি বিজেপির পক্ষপাতিত্ব। এই পক্ষপাতিত্ব এমন যে নৃশংস ধর্ষণ এবং ঘৃণ্য অপরাধও ক্ষমাযোগ্য।’

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের মার্চ মাসে দাহোদ জেলায় লিমখেড়া তালুকায় রাধিকাপুর গ্রামে একদল দুষ্কৃতী বিলকিস বানোর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিল। গণধর্ষণ করা হয় বিলকিসকে৷ তাঁর পরিবারের ৭ জন সদস্যকে খুন করা হয়৷ পরিবারের অন্য ৬ জন সদস্য পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন৷ পরে ২০০৪ সালে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিশেষ সিবিআই আদালত বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের গণহত্যার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১১ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসের আদেশ ঘোষণা করেছিল৷ তবে এই বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার পঞ্চমহলের কালেক্টর সুজল মায়াত্রার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দোষীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। সর্বসম্মতিক্রমে কারাবাসের সময় হ্রাসের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় কমিটিতে। সেই মতো সোমবার দোষীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বন্ধ করুন