বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা মামলার শুনানি হবে ৯ সেপ্টেম্বর। আজকে একথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। মামলায় মুক্তি পাওয়া আসামিদেরও পার্টি করা হয়েছে। গত ২৫ অগস্ট এই মামলায় একটি নোটিশ জারি করেছিল তিন বিচারপতির বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, বিলকিস বানোর গণধর্ষকদের গত ১৫ অগস্ট মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে।
এর আগে বিলকিস মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ২৫ অগস্ট পর্যবেক্ষণ করেছিল যে ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দিলে বলা হয়নি, তাদের আর্জিকে বিবেচনা করে দেখতে বলা হয়েছিল গুজরাট সরকারকে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং গুজরাট সরকারকে নোটিশ জারি করে শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে, ‘দোষীদের মুক্তির সময় আদৌও বিচার-বিবেচনা করা হয়েছিল কিনা, তা দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: ‘...রোল মডেল’, ‘মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বে’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ হাসিনা
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের মার্চ মাসে দাহোদ জেলায় লিমখেড়া তালুকায় রাধিকাপুর গ্রামে একদল দুষ্কৃতী বিলকিস বানোর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিল। গণধর্ষণ করা হয় বিলকিসকে৷ তাঁর পরিবারের ৭ জন সদস্যকে খুন করা হয়৷ পরিবারের অন্য ৬ জন সদস্য পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন৷ পরে ২০০৪ সালে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিশেষ সিবিআই আদালত বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের গণহত্যার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১১ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসের আদেশ ঘোষণা করেছিল। তবে এই বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার পঞ্চমহলের কালেক্টর সুজল মায়াত্রার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দোষীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। সর্বসম্মতিক্রমে কারাবাসের সময় হ্রাসের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় কমিটিতে। সেই মতো স্বাধীনতা দিবসের দিন দোষীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।