বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১জন বন্দির মুক্তি পাওয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন এবার শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২৭ মার্চ সেই শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় বিলকিসের পরিবারের সাতজন সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। ধর্ষণ করা হয়েছিল বিলকিসকে। তবে এবার বিচারপতি কে এম যোশেফ ও বিভি নাগরত্নার বেঞ্চ এই শুনানি শুনতে সম্মত হয়েছে। একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব, অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কর্মী এই আবেদন করেছিলেন আদালতে। বিলকিস বানো তিনি নিজেও একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন।
এদিকে গত ২২ মার্চ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জরুরী ভিত্তিতে গোটা বিষয়টি লিস্টিং করার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আবেদনের শুনানির জন্য তিনি একটি নতুন বেঞ্চ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এদিকে ৪ জানুয়ারি বিচারপতি অজয় রাস্তোগি ও বেলা এম ত্রিবেদী বিলকিস সহ অন্যান্যদের আবেদন গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বিচারপতি ত্রিবেদী পরে কোনও কারণ না দেখিয়েই এই শুনানি থেকে সরে দাঁড়ান।
এদিকে গত বছর ৩০ নভেম্বর বিলকিস বানো শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ১১জন যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তকে কেন আগাম মুক্তি দেওয়া হল তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, এই সিদ্ধান্ত সমাজের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে গত বছর ১৫ অগস্ট ১১জন সাজাপ্রাপ্তকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার।
এদিকে বিলকিস তাঁর রিট পিটিশনে জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার একেবারে যান্ত্রিক একটি নির্দেশ ইস্যু করেছে। সুপ্রিম কোর্ট যে আইনের কথা জানিয়েছে তাকে মানতে চায়নি গুজরাট সরকার।
এদিকে ওই সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বানো। বলা হয়েছিল গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আনন্দে মাতোয়ারা তখন ওই সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়া হল। তাদের সকলের সামনে মালা পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হল। মিষ্টি বিতরণ করা হল। এই ছবি দেখে শিউরে উঠেছিলেন বিলকিস। এদিকে তারপরই এই মুক্তির বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেছিলেন অনেকেই।
এদিকে ঘটনার সময় বানোর বয়স ছিল ২১ বছর। তিনি সেই সময় পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। সেই সময় তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।গোধরা ট্রেনে আগুন ধরানোর পরেই শুরু হয়েছিল এই ভয়াবহ ঘটনা। তাঁর তিন বছরের মেয়ে সহ পরিবারের সাত সদস্যকে খুন করা হয়েছিল।