বিলকিস বানু গণধর্ষণ মামলায় আগাম মুক্তি পেয়েছেন ১১জন বন্দি। এবার সেই বিলকিস বানো সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। ২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের সময় তাঁকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শীর্ষ আদালতের মে মাসের নির্দেশকেও তিনি চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন। ওই নির্দেশে দোষীদের মুক্তির ব্য়াপারে গুজরাট সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য় অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
এই বিষয়টি প্রধান বিচারপতি সামনে হাজির করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, উভয় আবেদনেরই শুনানি হবে কি না তা দেখা হবে।
দোষী সাব্যস্ত হওয়া রাধেশ্যাম শাহ মুক্তির ব্যাপারে আদালতে গিয়েছিলেন। এরপর ১৫ অগস্ট গুজরাট সরকার তাদের মুক্তি দেয়। ওই ব্যক্তিকে ২০০৮ সালে সিবিআই আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। তিনি ১৫ বছর ৪ মাস জেলে ছিলেন।
গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারকে জানিয়েছিল তারা মুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এদিকে সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট ও রাজ্যপালের কোনও দোষীকে ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে। অন্যদিকে জেল যেহেতু রাজ্যের বিষয় সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সাজার মেয়াদ কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু এখানেও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
দোষীদের মুক্তি প্রসঙ্গে অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি(হোম) রাজ কুমার জানিয়েছিলেন, ১১জন দোষী ১৪ বছর সাজা খেটেছেন। আইন মোতাবেক যাবজ্জীবন মানে ১৪ বছর। এরপর তিনি মুক্তির জন্য় আবেদন করতে পারেন। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রিজন অ্যাডভাইজরি কমিটির সুপারিশ মেনে, জেলা আইনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
২০০২ সালের ৩ মার্চ বিলকিসকে গোধরাকাণ্ডে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। তাঁর তিনবছরের মেয়ে সহ ১৪জনকে খুন করা হয়েছিল।