বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Bill on Working Hour: মে দিবসে বড় ঘোষণা! ১২ ঘণ্টা কাজের জন্য লাগু বিধি প্রত্যাহার স্ট্যালিন-রাজ্য তামিলনাড়ুতে

Bill on Working Hour: মে দিবসে বড় ঘোষণা! ১২ ঘণ্টা কাজের জন্য লাগু বিধি প্রত্যাহার স্ট্যালিন-রাজ্য তামিলনাড়ুতে

এমকে স্ট্যালিন। (PTI Photo/R Senthil Kumar) (PTI)

১ মে ২০২৩, মে দিবসের দিন সেই বিতর্কিত বিল প্রত্যাহার করে নিল স্ট্যালিন সরকার। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, কর্মীদের কল্যাণ নিয়ে কোনও রকমের সমঝোতা করবে না তাঁর সরকার।

১৯৮৪ সালের কারখানা আইন সংশোধন করে, ৮ ঘণ্টার জায়গায় শ্রমিকদের কাজ ১২ ঘণ্টা করার দাবি নিয়ে একটি বিল ১২ এপ্রিল পেশ হয় তামিলনাড়ুর বিধানসভায়। সদ্য তা পাশ হয় তামিলনাড়ুর বিধানসভায়। বিল নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের ঝড় ওঠে। ১ মে ২০২৩, মে দিবসের দিন সেই বিতর্কিত বিল প্রত্যাহার করে নিল স্ট্যালিন সরকার। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, কর্মীদের কল্যাণ নিয়ে কোনও রকমের সমঝোতা করবে না তাঁর সরকার।

তবে বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই সেই বিল-এ স্থগিতাদেশ দেয় এমকে স্ট্যালিন সরকার। বিতর্কিত সেই বিলে বলা হয়েছিল, এবার থেকে ৮ ঘণ্টা নয়, বরং তার জায়গায় ১২ ঘণ্টা ধরে কর্মীদের করতে হবে কাজ। উল্লেখ্য, এমকে স্ট্যালিনের ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ুতে শাসকদলের শরিক পার্টিগুলিও এই বিলের বিরোধিতা করে। বহু ট্রেড ইউনিয়ন এই বিলকে শ্রমিক বিরোধী আইন বলে দাবি করে। সব মিলিয়ে এই আইন নিয়ে কোণঠাসা হতে শুরু করে ডিএমকে। সোমবার এম কে স্ট্যালিন বলেন, কোনও একটি উন্নয়নকে আনতে যেমন সাহজ লাগে, তেমন মানুষের মতামত মেনে তাঁদের বার্তাকে শিরোধার্য করতেও লাগ সাহস। উল্লেখ্য, মে দিবসে চেন্নাইতে মে ডে পার্কে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বড় ঘোষণা করেন এম কে স্ট্যালিন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটিকে কখনওই অপমান হিসাবে ব্যাখ্যা করিনি। আমি এটিকে দেখেছি, গর্বের বিষয় হিসাবে। কারণ এটির জন্য দরকার সাহস, কারণ শুধু বিল লাগু করা নয়, তা প্রত্যাহার করাও একটি দিক। আমাদের সেভাবেই কালাইনার (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধি) প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ট্রেড ইউনিয়নগুলি সন্দেহ প্রকাশ করার দু'দিনের মধ্যেই তা তুলে নেওয়া হয়।’

( বাড়ির বেল বাজিয়ে পালাচ্ছিল ৩ কিশোর, ইয়ার্কিতে বিরক্ত গৃহকর্তা ঘটালেন হত্য়াকাণ্ড)

এমকে স্ট্যালিন বলেন,'শ্রমিকদের কল্যাণ নিয়ে আমরা কোনও মতেই সমঝোতা করব না কোনও পরিস্থিতিতেই। ইন্ডাস্ট্রিগুলির বেড়ে ওঠা দরকার আর শ্রমিকদের সমৃদ্ধি প্রয়োজন।' উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুকে বিপুল বিনিয়োগকে পাখির চোখ করে ওই বিল লাগু হয়েছিল। এছাড়াও মনে করা হয়েছিল, এতে কর্মসংস্থান বাড়বে। যদিও সেই বিল নিয়ে রাজ্যের একাধিক বিরোধী দল সমেত, ডিএমকের শরিকদলগুলিও সরব হয়েছে। তারপরই ঘটল এই ঘটনা। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

 

 

 

 

 

 

বন্ধ করুন