ভেন্টিলেশনে দেওয়া হল বিমান বাংলাদেশের পাইলটকে। যিনি মাঝ-আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। নাগপুরের বেসরকারি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, হিমোডাইনামিক সাপোর্ট-সহ তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ওমানের রাজধানী মাসকট থেকে ঢাকায় আসছিল বিমান বাংলাদেশের উড়ান। তাতে ১২৬ জন যাত্রী ছিলেন। কিন্তু মাঝ-আকাশে পাইলট হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। সূত্রের খবর, বিমানটি যখন রায়পুরের কাছে ছিল, তখন জরুরি অবতরণের জন্য কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নিকটবর্তী নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণের পরামর্শ দেয় কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসি। কো-পাইলটই জরুরি ভিত্তিতে বিমানটি সুরক্ষিতভাবে অবতরণ করেন। অবতরণের পর তড়িঘড়ি পাইলটকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যা বিমানবন্দর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাঁর অবস্থা যথেষ্ট সংকটজনক।
জরুরি অবতরণের পর শুক্রবার সকালে আর বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে ওড়েনি। রাত ১০ টার পর বিমানটি ঢাকায় উড়ে গিয়েছে। নাগপুরেই ছিলেন যাত্রীরা। নাগপুর বিমানবন্দরের এক কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘বিমান বাংলাদেশের তরফে বিকল্প ক্রু আনা হয়েছিল। তারপর শুক্রবার রাত ১০ টা ৩৭ মিনিটে যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় বিমানটি।’ এমনিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে পরিষেবা শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ।সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে বিমানটি। কো-পাইলট ও কলকাতা এটিসির মধ্যে সঠিক সময়ে যোগাযোগ না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। পাশাপাশি কলকাতা এটিসি যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে গোটা বিষয়টির মোকাবিলা করেছে তা যথেষ্ট প্রশংসার যোগ্য বলেই অনেকে মনে করছেন।