তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ত্রিপুরার উপর। বিজেপি শাসিত বাঙালি অধ্যুষিত এই রাজ্যে নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের জন্য সত্যিকার অর্থে জাতীয় দল হয়ে ওঠার 'হাইওয়ে' গিয়েছে এই ত্রিপুরা হয়ে। তবে তৃণমূলকে জমি ছাড়তে নারাজ শাসক দল বিজেপিও। আর সেই লক্ষ্যে এবার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে ময়দানে স্বয়ম মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। আর তাঁর হাতিয়ার 'পাচার'। সঙ্গে তিনি দিলেন তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারির হুঁশিয়ারিও।
তৃণমূলকে তোপ দেগে এদিন এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেন বিপ্লব দেব। তাতে তিনি লেখেন, 'আমি ২০১৫ সালে ত্রিপুরায় দায়িত্ব নিয়ে আসি এবং ২০১৭ সালেই বড়জলা উপনির্বাচনে দলের সাংগঠনিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তখন এই বড়জলার প্রত্যেকের বাড়িতে আমি গিয়েছি। বড়জলার প্রত্যেকে আমাকে চেনে আমিও তাদের চিনি। এখন দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি দল আমাদের রাজ্যে এসেছে। এ দলের নেতৃত্বরা পশ্চিমবঙ্গে গরু পাচারের মতো অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। এখানেও যাদের দলে টানছে তারাও এ ধরনের অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। আর আমার কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে যার ভিত্তিতে তাদের আমি গ্রেফতার করাব। আমি দলের কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলবো প্রত্যেক বিরোধী সিপিএম-এর সমর্থকদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। তাদের কাছে গিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরুন। তাদের বোঝান ২৫ বছরের সরকার কি করেছে আর আমরা গত সাড়ে তিন বছরে কি করেছি ও করছি।'
এদিকে তৃণমূলকে ঠেকাতে তাদের থেকে 'অনুপ্রাণিত' হয়েই 'দাদাকে বলো' কর্মসূচি শুরু হবে আজ থেকে। ১৯০৫ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে জানানো যাবে নিজেদের যাবতীয় সমস্যা। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সাধ্যমতো সেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে। উল্লেখ্য, দু’বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে ঠিক একইভাবে একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুরু করা হয়েছিল 'দিদিকে বলো' প্রকল্প। তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি নকল করেই ত্রিপুরার বিজেপি শাসক বিপ্লব দেব ২০২৩ সালের নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চাইছেন।