জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চাপে হিন্দুরা। তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে হিন্দুদের জনসংখ্যা। প্রায় ৭৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে ইতিমধ্যেই। এমনই মন্তব্য করে বিস্ফোরক প্রশ্ন ছুঁড়লেন আরএসএস-এর ম্যাগাজিন অর্গানাইজারের সম্পাদক প্রফুল্ল কেতকার। তাঁর প্রশ্ন, শুধুমাত্র হিন্দুদেরই কেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের শিকার হতে হবে?
কেতকারের দাবি, 'এ ক্ষেত্রে তো আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে মানুষের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে। অনেক পরিবারই আজ বিয়েতে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। এর মধ্যে যদিও কেউ কেউ বিয়ে করেও ফেলছেন, তবুও তাঁদের মনোভাব বদলাচ্ছে। প্রায়শই দম্পতি, শুধুমাত্র একটি সন্তান নেওয়ার কথাই ভাবছেন। আর এই বিষয়টি একেবারেই ভালো চোখে দেখছেন না সম্পাদক প্রফুল্ল কেতকার।
কেতকার এদিন যুক্তি দিয়েছেন যে দেশের জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখতে, হিন্দুদের এ বিষয়ে আরও অনেক সচেতন হতে হবে। তাঁর মতে, এই জন্ম নিয়ন্ত্রণের ধারণাটি এনেছে বিদেশী শক্তিরা। মূলত দেশের জনসংখ্যা কমানোর একটি সুগঠিত কৌশল এটি। তাই তিনি বিশ্বাস করেন যে জনসংখ্যাই দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আর এই সম্পদ একবার দুর্বল হয়ে পড়লে দেশেরও চাপ বাড়বে।
তিনি এদিন উল্লেখ করেছেন যে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় গান্ধীর নেতৃত্বে যে জন্মনিয়ন্ত্রণ অভিযানটি চালানো হয়, সেই অভিযানে টাকা ঢেলেছিল ফোর্ড ফাউন্ডেশন। আর এই বিষয়টিই অদ্ভুত লেগেছে সম্পাদকের। এখানেই তাঁর প্রশ্ন যে ওই আমেরিকান সংস্থা এই অভিযানে টাকা ঢেলে কী লাভ পেল? ঠিক কী অর্জন করার চেষ্টা করছে তারা? এরই পাশাপাশি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, কেতকার কিছু ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গোষ্ঠীরও সমালোচনা করেছেন। যাঁরা ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে 'ইসলামোফোবিয়া' বলে থাকেন, তাঁরা মূলত ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রফুল্ল কেতকার।
আরও পড়ুন: (Samsung Job Cuts: বিশ্বব্যাপী ৩০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করবে স্যামসাং, প্রভাব পড়বে ভারতেও)
ভারতের সামনে যদি কখনও ইসরায়েলের মুখোমুখি হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসে সেই সময়ের জন্য ভারতের প্ৰস্তুত হওয়া উচিত কিনা, এমনই একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল কেতকারকে। তাঁর স্পষ্ট উত্তর, এই সমস্ত পরিস্থিতিতে বেসামরিক নাগরিকদের প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যেই অগ্নিবীর প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। এনজিও বিশ্বমন্থন রিসার্চ ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি ইভেন্টে টাইম অফ ইন্ডিয়া-কে তিনি আরও বলেন, অগ্নিবীর প্রকল্পের লক্ষ্য হল, ভারতের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাঁরা সংকটের সময় দেশের হয়ে লড়তে পারেন।