হুইস্কি মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল আইসক্রিম। চড়া দামে কিনছিলেন গ্রাহকেরা। বেশিরভাগ ছোটদের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই আইসক্রিম। সবটা জানতে পেরে হানা দেয় এক্সাইজ এনফোর্সমেন্ট পুলিশ। আইসক্রিম পার্লারে ঢুকে হতবাক হয়ে যান অধিকর্তারা। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন আইসক্রিম বিক্রেতা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১১.৫ হুইস্কি সহ আইসক্রিম।
তেলাঙ্গানার হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসের ঘটনা এটি। জুবিলি হিলসের এরিকো ক্যাফে আইসক্রিম পার্লার থেকেই বিক্রি করা হচ্ছিল হুইস্কি মেশানো আইসক্রিম। জানা গিয়েছে, গাট্টু চন্দ্র রেড্ডি এই পার্লারে আইসক্রিম বিক্রি করেন বলে জানা গিয়েছে। ওই অভিযুক্ত দোকানদারের পাশাপাশি এই র্যাকেটের জড়িত ছিলেন শোভন ও দয়াকর রেড্ডি নামে আরও দুইজন কর্মচারী। দুইজন কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মালিক পলাতক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (মাওবাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে খুলে গেল স্কুল, দু’দশক পর ছত্তিশগড়ে এল শিক্ষার আলো)
শুক্রবার জুবিলি হিলসের ক্যাফে আইসক্রিম পার্লারে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় অধিকর্তারা দেখতে পান যে হুইস্কি মেশানো আইসক্রিম প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে। পার্লারটির প্রতি কেজি আইসক্রিমে ৬০ মিলি হুইস্কি মেশানো হতো। সেই কারণেই তা খুব চড়া দামে বিক্রিও হচ্ছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে অভিযুক্ত দয়াকর রেড্ডি, গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এটির বিজ্ঞাপনও দিয়েছিলেন। পুলিশ ২৩ পিস হুইস্কি আইসক্রিম বাজেয়াপ্ত করেছে। যার মোট ওজন ১১.৫ কেজি।
বলা বাহুল্য, খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন ইন্টারনেট ইউজাররা। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। নেটিজেনদের দাবি, শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে খেলা হচ্ছে এইভাবে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড হালকাভাবে নেওয়া একেবারেই উচিত নয়।
আরও পড়ুন: (RG Kar Doctor Murder: আরজি কর মামলায় কি দুটি FIR হয়েছিল? চালান কোথায়? ময়নাতদন্তে নর্থবেঙ্গল লবি!)
এদিন, এক্সাইজ বা আবগারি সুপারিনটেনডেন্ট প্রদীপ রাও, যিনি এই অপারেশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনিই নিশ্চিত করেছেন যে শিশুদের কাছে অ্যালকোহল-ভিত্তিক পণ্য বিক্রি আবগারি আইনের ধারা ৩৪এ এর অধীনে একটি গুরুতর অপরাধ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে। আরও এক আধিকারিকের দাবি, 'আমরা পার্লার মালিক এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জিএইচএমসি এবং খাদ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষকে জানাব।'