কানোয়ার যাত্রার রুটে যে সমস্ত খাবারের দোকান থাকবে সেই দোকানের মালিকের নাম লেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। বিজেপির সহযোগী শক্তি রাষ্ট্রীয় লোকদল ও ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এই নির্দেশকে ফের বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছে। আরএলডি প্রধান জয়ন্ত চৌধুরী উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এই নির্দেশটা পুনরায় বিবেচনা করার জন্য জানিয়েছেন।
জয়ন্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, কানোয়ারের তীর্থযাত্রীরা নির্দিষ্ট কোনও ধর্মের মধ্যে আবদ্ধ থাকেন না। সেক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে সেটা সুবিবেচকের মতো হয়নি। আরও এনিয়ে মাথা ঘামিয়ে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ছিল।
তিনি জানিয়েছেন, এখনও সময় আছে। এখনও এটা ফেরানো যায় বা এটা প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে যাতে জোরাজুরি করা না হয় সেটা দেখা যেতে পারে।
তিনি জানিয়েছেন, যারা কানোয়ার যাত্রায় যান আর যারা তাঁদের সেবা করেন তারা উভয়ই সমান। এই ঐতিহ্যটা বহুদিন ধরেই চলে আসছে। কেউ দেখে না কারা তাদের সেবা করছেন।
বিজেপির অপর সহযোগী এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেলও চান এই নির্দেশটা যাতে বাতিল করা হয়, তিনি জানিয়েছেন, ইউপি সরকারের উচিত এটা নিয়ে ফের আলোচনা করা। কারণ এটা এখনই প্রয়োগ করা দরকার নেই।
তিনি সর্বদলীয় মিটিংয়ে জানিয়েছেন, কানোয়ার যাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রথমবার এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এটা সংশোধন করা দরকার। উত্তরপ্রদেশ সরকারের উচিত এটা নিয়ে ফের চিন্তাভাবনা করা।
নির্দেশে কী বলা হয়েছে?
সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, রেস্তরাঁ, রাস্তার ধারে খাবার জায়গা, ফলের ভেন্ডার, চায়ের দোকান যেগুলি কানোয়ার যাত্রার পথে পড়বে সেখানে মালিকের নাম লিখতে হবে। হালাল সার্টিফিকেট যুক্ত কোনও সামগ্রী বিক্রির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এদিকে এই নির্দেশক ঘিরে বিজেপির অন্য সহযোগী শক্তি যেমন নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের লোকজনশক্তি এই নির্দেশ নিয়ে আপত্তি তুলেছে।।
এদিকে তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র ইউপি সরকারের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন বলে খবর। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।