সম্প্রতি পুরো বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে। শান্তনুর সাসপেনশনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপির তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো বাংলার সংস্কৃতির হিংসাকে একই বন্ধনীতে এনে অভিযোগ তুলেছেন, বাংলার সংস্কৃতি সংসদে আমদানি করেছে তৃণমূল।
এদিন শান্তনুর সাসপেনশন নিয়ে সরব হয়ে প্রথমে টুইট করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটে তিনি জানান, ‘পেগাসাস কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ করে রাজ্যসভায় অপমানিত, লাঞ্ছিত সাসপেনডেড শান্তনু সেন। আর অন্যের কল লিস্টের রেকর্ডিং তাঁর কাছে আছে বলে প্রকাশ্যে স্বীকার করেও বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন? শান্তনুকে সাসপেন্ড করে প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না।’ একইসঙ্গে বিজেপির প্রতি আক্রমণ শানান তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ান। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার শান্তনুর কাগজ ছেঁড়ার ঘটনার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিম পুরী শান্তনুর দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। অসংসদীয় বাক্য প্রয়োগ করেছিলেন। তাহলে যদি শান্তনুকে সাসপেন্ড করা হয়, তাহলে কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করা হবে না।
তবে এদিন তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ করতেও থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। তিনি বঙ্গ সংস্কৃতির কথা টেনে জানান, যেভাবে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন, সেভাবেই তৃণমূলের সাংসদ সংসদে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। বাংলার সংস্কৃতি সংসদে আমদানি করেছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার এই তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর হাত থেকে বক্তৃতার কাগজ টেনে ছিঁড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তারপর সেই ছেঁড়া কাগজ ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ন সিংয়ের আসনে ছুড়ে মারেন তিনি। যদি কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর পাল্টা বক্তব্য রাখতেও বেশি সময় নেয়নি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি জানান, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন, বাংলার সংস্কৃতি সংসদে নিয়ে এসেছেন। পতাকা উঁচু করে তুলে ধরতে পেরে আমরা গর্বিত। ঠিক যেমন বিজেপি গুজরাত সাহিবের ফোনে আড়িপাতার সংস্কৃতি দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে।’