হরিয়ানার পর মহারাষ্ট্রেও হারের জন্য ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। এবার ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলাই লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ করল বিজেপি। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবির বলেছে, রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের সমস্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রথমে পদত্যাগ করা উচিত। ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: শেষ বেলায় ভোট বাড়ল কীভাবে...প্রশ্ন কংগ্রেসের! প্রতিনিধি দলকে ডেকে পাঠাল নির্বাচন কমিশন
শনিবার বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানান, ‘যদি কংগ্রেস নেতারা মনে করেন যে ইভিএমে কারচুপি হয়েছে, তাহলে তারাও যেহেতু ইভিএমে নির্বাচিত হয়েছেন তাই অবিলম্বে তাদের সকলকে ইস্তফা দেওয়া উচিত।এই ধরনের অবস্থান তাদের দাবিকে আরও জোরদার করবে।’ ভাটিয়ার কথায় এরকম না করলে তাদের অভিযোগ কথা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি কংগ্রেসকে এই ইস্যুতে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ভাটিয়া জানান, যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বহুবার নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে ক্লিন চিট দিয়েছে। এরপরেই তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের সব মুখ্যমন্ত্রী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এখুনি পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তাঁরা ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন।’ ভাটিয়ার মতে, কংগ্রেস ধীরে ধীরে মুছে যাবে। শুধু বইয়ের পাতায় থাকবে তারা।
প্রসঙ্গত, সদ্য মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। তাতে ২৮৮টি মধ্যে ২৩৩টি আসন জিতেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহায্যুতি জোট। আর বিজেপি একাই ১৩২টি আসন জিতেছে। তাদের শরিক দল শিবসেনা (একনাথ শিন্ডের দল) এবং এনসিপি (অজিত পাওয়ার দল) যথাক্রমে ৫৭ এবং ৪১টি আসন জিতেছে। কংগ্রেস অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে গণনা, ভোটের সংখ্যা এবং ভোটের সংখ্যার বৈষম্যের অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। কংগ্রেসের পাশাপাশি শিবসেনা (উদ্ধব) শিবিরের সাংসদ সঞ্জয় রাউতও গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচন কমিশন যদিও কংগ্রেসে এবং বাকি বিরোধীদের দাবি খারিজ করে দিয়েছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর দাবিগুলি সমাধানের জন্য কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।