গভীর রাতে দুটি রাজ্যে নয়া সভাপতি নিয়োগ করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে বিজেপির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে সিপি জোশীর পরিবর্তে রাজ্যসভার সাংসদ মদন রাঠোরকে রাজস্থানের বিজেপি সভাপতি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, নীতীশ কুমার সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর জায়গায় দিলীপ জয়সওয়ালকে বিহারের রাজ্য সভাপতি পদে বসানো হয়েছে। সেইসঙ্গে অসম, চণ্ডীগড়, লাক্ষাদ্বীপ, রাজস্থান, তামিনাড়ু এবং ত্রিপুরায় সাংগঠনিক পদে একাধিক রদবদল করেছে বিজেপি। তবে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে কোনও রদবদল করা হল না। আপাতত কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকেই বহাল রাখা হল বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে।
অসম, ত্রিপুরার মতো রাজ্যে কাদের কাদের নিয়োগ করা হল?
১) অসমের নয়া ইনচার্জ হিসেবে প্রাক্তন সাংসদ হরিশ দ্বিবেদীকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
২) চণ্ডীগড়ের ইনচার্জ করা হয়েছে সাংসদ অতুল গর্গকে।
৩) লাক্ষাদ্বীপের নয়া ইনচার্জ হয়েছেন অরবিন্দ মেনন।
৪) রাজস্থানে রাজ্য সভাপতি পরিবর্তনের পাশাপাশি ইনচার্জ এবং সহ-ইনচার্জ নিয়ে ঘোষণা করেছে বিজেপি। ইনচার্জ করা হয়েছে রাধামোহন আগরওয়ালকে। বিজয়া রহাটকরকে সহ-ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
৫) ত্রিপুরার ইনচার্জ করা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ রাজদীপ রায়কে।
রাজস্থানের রাজ্য সভাপতি পরিবর্তনের আগে একপ্রস্থ ‘নাটক’
বিজেপি যখন রাজস্থানের জন্য নয়া রাজ্য সভাপতি নিয়োগ করল, তার কিছুক্ষণ আগেই একটি মহলের দাবি করা হয় যে নিজের পদ থেকে জোশী ইস্তফা দিতে চেয়েছেন। সূত্রের খবর, গত চারদিন ধরে তিনি দিল্লিতে ছিলেন। দলের একাধিক শীর্ষনেতার সঙ্গে দেখা করে নিজের মনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বুধবার তিনি নাকি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গেও দেখা করেন।
জোশীর ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, ‘দলের হাইকমান্ডের কাছে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন জোশী। তবে এই প্রথমবার তিনি সেই কাজটা করতে চাইলেন না। রাজস্থানে যখন বিজেপি সরকার গঠন করেছিল, তখন থেকেই সেটা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত তাঁকে দায়িত্ব পালন করতে বলেছিল দল।’
ব্রাহ্মণ মুখের পরিবর্তে রাজপুত রাজ্য সভাপতি
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজনীতির অঙ্কে সেই পরিবর্তনটা দরকারই ছিল। ভজনলাল শর্মা মুখ্যমন্ত্রী এবং জোশী রাজ্য সভাপতি হওয়ায় রাজস্থানে বিজেপির দুটি বড় পদেই ব্রাহ্মণ মুখ ছিলেন। এখন যে মদনকে দায়িত্ব দেওয়া হল, তিনি রাজপুত। আর লোকসভা নির্বাচনে রাজপুত এলাকায় ধাক্কা খেয়েছিল বিজেপি।