ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি সংক্রান্ত ইস্যুতে বড় আশঙ্কার কথা শোনালেন মিম প্রধান।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, সম্পত্তির উপর ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা খর্ব করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এআইমিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
তিনি বলেন, 'সবথেকে আগের ব্যাপার হল, পার্লামেন্ট চলছে। তখন পার্লামেন্টারি সুপ্রিমেসিকে উপেক্ষা করে মিডিয়াকে জানানো হচ্ছে বিষয়টি। সংসদে জানানো হচ্ছে না। এটা ঠিক নয়। পার্লামেন্ট যখন চলছে তখন সরকারের দরকার ছিল আগে পার্লামেন্টকে জানানো। পরে সংবাদমাধ্য়মে। মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে বলতে পারি যে প্রস্তাবিত যে নির্দেশ আসছে তাতে বলা হচ্ছে মোদীর হুকুমে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে। ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি কীভাবে চলবে সেটা নিয়ে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এটা ধর্মচারণের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রথম থেকে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে। আরএসএসের একটা অ্যাজেন্ডাই আছে যে শুরু থেকেই ওয়াকফ বোর্ড ও ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তিকে শেষ করতে চাইছে। '
ওয়াইসি বলেন, 'তৃতীয় কথা হল মিডিয়া রিপোর্টের উপর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলছি, একবার কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে উল্লেখ করে দিলে সার্ভে কমিশনার তালিকা তৈরি করেন। রাজ্য সরকার গেজেট নোটিফিকেশন করে। এই গেজেট নোটিফিকেশন যদি একবছর ধরে কোনও চ্যালেঞ্জ না হয় তবে সেটা ওয়াকফের বলে গণ্য করা হয়। এটা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। গেজেট নোটিফিকেশনকেও বদলে দিতে চাইছে। এদিকে ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি কিছু জায়গায় জবরদখল করা হয়েছে। সেখানে এবার সেই জবরদখলকারীরা বলতে শুরু করবে যে এটা তাদের সম্পত্তি। কোনও সম্পত্তিতে এই ধরনের ঝগড়া হোক সেটা আমরা চাই না। '
তিনি বলেন, 'সরকারের নিয়ন্ত্রণ বাড়লে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা খর্ব হবে। ওয়াকফ বোর্ডের স্বাধীনতা ক্রমশ কমবে। এদিকে যদি সম্পত্তি নিয়ে কোনও বিতর্ক থাকে তবে বলা হবে যে আমরা এবার মেপে দেখি। আর সেটা মেপে দেখবে বিজেপির মুখ্য়মন্ত্রীরা। আর আপনারা সকলেই জানেন তার ফল কী হতে পারে। '
মিম প্রধান বলেন, 'দেশে অনেক দরগা রয়েছে যেগুলিকে বিজেপি আর আরএসএস দাবি করে যে এগুলি দরগা আর মসজিদ নয়।
এটা একটা পরিকল্পনা যে প্রথমে জমিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি করা, তারপর তা নিয়ে সমীক্ষা করা আর তারপর বলে দেওয়া যে এটা ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি নয়।' বড় আশঙ্কার কথা জানালেন মিম প্রধান।