কর্নাটকে সরকারি টেন্ডারের ক্ষেত্রে মুসলিম ঠিকাদারদের জন্য় ৪ শতাংশ সংরক্ষণের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এই নয়া অ্যামেন্ডমেন্ট সেই রাজ্যের মন্ত্রিসভায় পাশ করা হয়েছে। এবার চলতি বিধানসভা অধিবেশনে এটা রাখা হবে।
দিল্লিতে একটি প্রেস কনফারেন্সে বিজেপি এমপি রবি শঙ্কর প্রসাদের অভিযোগ এই সংরক্ষণটায় পুরোপুরি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অনুমোদনে হয়েছে। সিদ্ধারামাইয়ার এনিয়ে সাহসও নেই আর রাজনৈতিক জোরও নেই যে তিনি এই ধরনের সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারেন। তিনি বলেন, একটা প্রতিযোগিতামূলক ভোট ব্যাঙ্ক পলিটিক্স চলছে।
সেই সঙ্গেই রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক ভিয়েতনাম সফর নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি। তিনি বলেন নতুন বছরর উদযাপনের সময় ও হোলিতে ফের ভিয়েতনাম সফরে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বিরোধী দলনেতা। কিন্তু তিনি রায়বেরেলিতে বেশি সময় দেন না। তাঁর ভিয়েতনাম নিয়ে বেশি ভালোবাসা।
সেই সঙ্গেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই তোষামোদের রাজনীতির সীমা কোথায়? মুভি ও ট্রেনের টিকিটেও কি এবার মুসলিমদের জন্য আলাদা লাইনের সংরক্ষণ থাকবে? তিনি বলেন, একের পর এক হারছে। তারপরেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরছে না তারা।
অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য সরকারি টেন্ডারে মুসলিম ঠিকাদারদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ অনুমোদনের জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন, এটিকে ‘সংবিধানের উপর আক্রমণ’ এবং ‘ধর্মান্তরকরণকে উৎসাহিত করে’ বলে অভিহিত করেছেন।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় তেজস্বী সূর্য বলেন, ভারতে সংরক্ষণ বরাবরই ধর্মের চেয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতার উপর ভিত্তি করে হয়েছে। তিনি বলেন, 'নির্বাচনী লাভের জন্য এই নতুন গিমিক সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্যকে ধ্বংস করার সমান।
তাঁর পোস্টটি দেখুন এখানে:
ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য কংগ্রেস সরকার ক্ষমতা ও সম্পদের অপব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ ধরনের নীতি অর্থনীতিকে 'রাজনৈতিক সুবিধাবাদের খেলার মাঠে' পরিণত করবে।
কর্ণাটক মন্ত্রিসভা কর্ণাটক ট্রান্সপারেন্সি ইন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (কেটিপিপি) আইনে সংশোধনী অনুমোদন করেছে, যার লক্ষ্য মুসলিম ঠিকাদারদের টেন্ডারে চার শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া।
এর আগে ৭ মার্চ কর্ণাটক সরকারের বাজেট পেশের সময় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিশ্চিত করেছিলেন যে এখন থেকে কর্ণাটক সরকারের বাজেট উপস্থাপনের সময় ক্যাটেগরি -২ নামে একটি বিভাগে গণপূর্তের চুক্তির চার শতাংশ মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
সরকারি সূত্রে খবর, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সভাপতিত্বে বিধানসভার ক্যাবিনেট হলে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং চলতি বিধানসভা অধিবেশনে কেটিপিপি আইন পেশ করার পরে সংশোধন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিতব্য একই অধিবেশনে আনুগত্যের উপস্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বিভিন্ন সরকারি বিভাগ, কর্পোরেশন এবং প্রতিষ্ঠানের অধীনে এসসি, এসটি, ক্যাটাগরি -১, ক্যাটাগরি -২ এ এবং ক্যাটেগরি -২ বি এর সরবরাহকারীদের জন্য ১ কোটি টাকা পর্যন্ত পণ্য ও পরিষেবা সংগ্রহের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ দেওয়া হবে, যেখানে ক্যাটেগরি -২ বি মুসলিমদের বোঝায়।