ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা বৈঠকে হাজির না থাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় মুখর হল বিজেপি। এদিন মমতার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ একাধিক বিজেপি নেতা। দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর আত্মসর্বস্বতা বিসর্জন দিতে অনুরোধ করলেন তাঁরা।
শুক্রবার কলাইকুন্ডা বিমানঘাঁটিতে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব। সূত্রের খবর, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। তার পর মুখ্যমন্ত্রী এসে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে নথি পেশ করে বেরিয়ে যান। দুজনের মধ্যে ৫ মিনিট কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি মমতা।
এর পর টুইটারে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা লেখেন, যখন ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গবাসীর পাশে দাঁড়াতে গেলেন মানুষের স্বার্থে মমতাজিরও অহঙ্কার ত্যাগ করা উচিত ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি সাংবিধানিক রীতি ও সংস্কৃতির হত্যা।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে আজ যা ঘটেছে তা বাকরুদ্ধ করে দেয়। মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী কোনও ব্যক্তি নন, এঁরা সংস্থা। দুজনে জনসেবার সংকল্প ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতার শপথ নিয়ে পদে বসেছেন। বিপর্যয়ের সময় যখন প্রধানমন্ত্রী সাহায্য করতে সেখানে পৌঁছেছেন তখন এই আচরণ পীড়া দেয়। জনসেবা ও সাংবিধানিক কর্তব্যের ওপর রাজনৈতিক ভেদাভেদকে স্থান দেওয়ার এ এক দুর্ভাগ্যজনক উদাহরণ। যা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূল ভাবনাকে আঘাত করে।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে দিঘা গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওনাকে ২০,০০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিয়েছি। উনি যা ভাল বুঝবেন তাই করবেন।’