ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীর নামে পাথর খাদানের ইজারা আছে এই অভিযোগ তুলে এবার হেমন্ত সোরেনের ইস্তফার দাবিতে সরব হলেন বিজেপি নেতৃত্ব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি রঘুবর দাস জানিয়েছেন, খনি দফতরটি মুখ্যমন্ত্রীর আওতায় রয়েছে। সেই দফতরে থেকে তিনি কীভাবে পাথর খাদানের ইজারা নিচ্ছেন?
ঝাড়খন্ডে দলের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস বলেন, হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে রয়েছেন। খনি দফতরের প্রধান হয়েও তিনি এই কাজ করলেন কীভাবে? এটা তো দুর্নীতির নামান্তর! তাঁর অভিযোগ, যে জমিটি ইজারা নেওয়ার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে সেটি সরকারি জমি। সেটি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য় মঞ্জুর করা একেবারেই বেআইনী। হেমন্ত সোরেনকে বিধায়ক পদ থেকেও অপসারণ করা দরকার।
এদিকে এনিয়ে এবার আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা জানিয়েছেন, নিজের অফিস ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁর এখনই ইস্তফা দেওয়া দরকার। পাশাপাশি বিধায়ক পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করার জন্য বিজেপির প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিক এনিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমরা এনিয়ে যে তথ্য রয়েছে সেগুলি ভালো করে দেখব। তারপর এনিয়ে মন্তব্য করব। প্রয়োজনে এই ইস্যুতে আইনের আশ্রয় নেব। দাবি বিজেপির।