দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে তাণ্ডব চালালো একদল চাষী। তারপর মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলায় যখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তখন বিজেপির বরিষ্ঠ নেতারা এর রাজনৈতিক কি প্রতিক্রিয়া দেওয়া যায় সেই নিয়ে বৈঠক করলেন দলের সভাপতি জেপি নড্ডার পৌরহিত্যে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংক্রান্ত বিক্ষোভের সঙ্গে এই কৃষক আন্দোলনের মিলের কথাও উঠে এল এই বৈঠকে।
বিজেপির কার্যালয়ে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেপি নড্ডা, বিএল সন্তোষ, অরুণ সিং সহ বেশ কিছু নেতা। বৈঠকে কি কথা হল সেই নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানায় নি বিজেপি। কিন্তু সূত্রের খবর যে মঙ্গলবারের তাণ্ডবলীলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সবিস্তারে। দলীয় নেতারা এর মধ্যে সিএএ প্রতিবাদের ছায়া খুঁজে পেয়েছেন।
গত বছর ট্রাম্প যখন প্রজাতন্ত্র দিবসে এসেছিলেন, তখন সিএএ বিরোধী ও সমর্থনকারীদের মদ্যে দাঙ্গা শুরু হয়ে যায় দিল্লিতে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বরিষ্ঠ নেতা বলেন যে তাদের মনে হচ্ছে যে প্রতিবাদে দেশবিরোধী অনেক লোকজন অনুপ্রবেশ করেছে যারা নিজেদের অসাধু উদ্দেশ্যে সরকারের সব প্রচেষ্টা মাটি করে দিচ্ছে। কেন সুপ্রিম কোর্টের কমিটির সঙ্গে কৃষকরা কথা বলছেন না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র আরপি সিং বলেন সিএএ-র মতো এখনও মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধীরা। তিনি বলেন তখন জিজ্ঞেস করা হয় যে একজনকেও দেখাও যার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একই ভাবে এখনও তারা চাষী আইনের প্রতিটি ধারা ধরে আলোচনা করতে আগ্রহী। কিন্তু প্রতিবাদীরা সেটা করতে রাজি নয়। তিনি বলেন যে মঙ্গলবার যে হিংসা হল তার দায় বাম ও অতি বাম বুদ্ধিজীবীদের নিতে হবে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীকে ভারতীয় ট্রাম্প বলে অভিহিত করে রাম মাধব বলেন যে বুদ্ধিজীবীরা এখন ছদ্মরাগ দেখাচ্ছে। তারাও দিল্লিতে যা হয়েছে তার জন্য দায়ী।