স্মৃতিরামচন্দ্রন কাক
মধ্যপ্রদেশ ও কর্নাটক, দুই জায়গাতেই বিরোধীদের সরকার ফেলে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। কিন্তু আচমকাই দুই রাজ্যেই টিকিট বণ্টন নিয়ে বিপাকে গেরুয়া শিবির। প্রকাশ্যে অবশ্য পার্টির হাই-কম্যান্ড বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। নয়া সভাপতি নির্বাচন ঘিরে অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে বিজেপির হিমাচল ইউনিটেও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক বরিষ্ঠ নেতা বলেন কোনও রাজ্যে কোনও সংকট নেই। শীর্ষ নেতৃত্ব সব কিছু বিচার বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। রাজ্যসভা ও বিধানপরিষদ ভোট হবে কর্নাটকে। তার ঠিক আগেি প্রায় ১২জন বিধায়ক গত সপ্তাহে চুপিসাড়ে বৈঠক করেন। এই সব বিধায়কই উত্তর কর্নাটকের। তাদের বৈঠকের পরেই রাজ্য রাজনীতিতে জোর গুঞ্জন। ১৯ জুন চারটি রাজ্যসভা আসনের জন্য ভোট হবে। এর মধ্যে দুটি পাওয়ার কথা বিজেপির।
বিজেপি বিধায়ক উমেশ কাটিলের বাড়িতে হয় এই বৈঠক। কাটিল নিজে রাজ্য মন্ত্রিসভায় আসতে চান ও নিজের ভাইকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চান! দিল্লিতে বিজেপি নেতারা বলেন যে উচ্চাকাঙ্খা সবারই আছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির সিদ্ধান্তই সবাইকে মানতে হবে। কোনও রকম চাপের কাছে আমরা মাথা নোয়াবে না।
অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে উপনির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ২৪ আসনে হবে উপনির্বাচন। শিবরাজ সরকারের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে বিজেপির এই উপনির্বাচনে ফলাফলের ওপর। যে ২২জন বিদ্রোহী বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন, তাদের টিকিট দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে জটিলতা।ইতিমধ্যেইই রাজ্য সভাপতি ভিডি শর্মা বলেছেন যে সব কংগ্রেস বিধায়করা আত্মত্যাগ করে বিজেপিতে এসেছেন, তাদের কথা দলকে ভাবতে হবে। কিন্তু এতেই গোঁসা পুরনোদের। অনেকে আরএসএসের কাছে নালিশ করার কথা ভাবছেন যে কীভাবে অনুগত সৈনিকদের সম্মান দিচ্ছে না দল।
এর আগে মহারাষ্ট্রেও বিধানপরিষদ ভোট নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বিজেপিতে। মনোনয়ন না পেয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে, পঙ্কজা মুন্ডের মতো নেতারা। অন্যদিকে হিমাচলে নয়া রাজ্য সভাপতি কে হবে, সেই নিয়ে জমে উঠেছে লড়াই। দফায় দফায় চলছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর ভিতরে বৈঠক। যদিও এতে সরকারের ওপর কোনও সংকট নেই, বলেই দাবি দিল্লির বিজেপি নেতাদের।