সামনেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে রেশ টানে মোদী সরকার। এবার মানুষের মন পেতে পেট্রল-ডিজেলের দাম কমিয়ে দিল কেন্দ্র।
বুধবার পেট্রলের দাম ১৮ পয়সা কমিয়েছে বিজেপি সরকার। ডিজেলের দামও কমেছে ১৭ পয়সা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দাম আরও কমতে পারে বলে আশা করছেন কেউ কেউ। অল্প হলেও দাম কমায় যে আমজনতা একটু স্বস্তি পাবেন, তা বলাই যায়।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আর তার পরের দিন থেকেই পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হঠাৎ স্থগিত হয়ে যায়। প্রায় প্রতিদিন বাড়তে থাকা দাম হঠাৎই এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে যায়।
ঘোষণার পর টানা ২৫ দিন এক পয়সাও মূল্যবৃদ্ধি হয়নি পেট্রোপণ্যের। সেই সময়েই ভোটের মুখে দাম কমবে বলে আন্দাজ করেছিলেন কেউ কেউ। সেই আন্দাজই এবার মিলে গেল। দিল্লিতে বুধবার পেট্রোলের দাম ৯০.৯৯ টাকা প্রতি লিটার। অন্যদিকে ডিজেলের দাম ৮১.৩ টাকা প্রতি লিটার।
গত ২০২০ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউনের পরিস্থিতিতে কিছুটা কমেছিল পেট্রোপণ্যের চাহিদা। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছিল অপরিশোধিত তেলের। তবুও সেই সময়ে ভারতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম সমানে বৃদ্ধিই পেয়েছে।
অন্যদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে ঘোষণার পর পরই হঠাত্ দাম বৃদ্ধি পায় ক্রুড অয়েলের। OPEC দেশগুলি থেকে কম সরবরাহের ফলে বেশি দাম দিয়েই তেল কিনতে বাধ্য হয় ভারত।
মোদী সরকার পেট্রোলের দাম স্থগিত করার পর পর প্রায় ১২% মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ক্রুড অয়েলের। অথচ এই সময়ে একই স্থানে দাম ধরে রাখে কেন্দ্র। কারও কারও মতে, পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনই এখন লক্ষ্য বিজেপি সরকারের। ফলে, এই সময়ে যে করে হোক মানুষের মন পেতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।
গত ৫ মার্চ হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্টে কেন্দ্রের পেট্রোপণ্যের দাম কমানোর সম্ভাব্য ব্লু-প্রিন্টও প্রকাশ্যে আসে। গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগেই যে কেন্দ্র দাম তড়িঘড়ি কমিয়ে দিতে পারে, সে কথা রিপোর্টে আগেই বলা হয়েছিল। কারণ যাই হোক, পেট্রোপণ্যের দাম কমলে যে সাধারণ মানুষ একটু স্বস্তি পাবেন, তা বলাই বাহুল্য।