বিধানসভা নির্বাচনে দুটি ভাগে প্রার্থী ঘোষণা করেছে হরিয়ানা বিজেপি। আর সেই প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন জেসিকা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মনু শর্মার মা শক্তি রানি শর্মা। কিছুদিন আগেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর তারপরেই তাঁকে প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল ২০২৪ হরিয়ানা বিধানসভা ভোট! নয়া তারিখ প্রকাশ করে কারণ জানাল কমিশন
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিনোদ শর্মার স্ত্রী এবং আম্বালার মেয়র হলেন শক্তিরানি শর্মা। তাঁকে কালকা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। তাঁর প্রার্থী হওয়ার খবর পেয়েই আম্বালা থেকে কালকা পর্যন্ত সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে। এই অবস্থায় শক্তি রানি শর্মা কালকা আসন থেকে রেকর্ড ভোটে জয়ী হবেন বলেই আশা করছে বিজেপি।
গত ১ সেপ্টেম্বর জিন্দে একটি সমাবেশে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শক্তি রানি শর্মা। আম্বালার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে শক্তি রানি শর্মা সক্রিয়ভাবে সমাজসেবা ও জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করেন। আম্বালার মেয়র হিসাবে, তিনি শুধু তাঁর কাজের জন্য সকলকে মুগ্ধ করেননি। রাজ্যের রাজনীতিতে তাঁর পরিবারের প্রভাবও ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।
শক্তি রানি শর্মা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর টিকিট পাওয়ায় বিরোধীদের কাছে তা একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শক্তি রানি শর্মার আরেক ছেলে কার্তিকেয় শর্মা বিজেপির সমর্থনে আগেই রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিজেপি সেখানে নারী ভোট ব্যাঙ্ক টানার জন্য এমন একটি মুখ খুঁজছিল যিনি সম্প্রদায়ের লোকদের একত্রিত করে তাদের দলে টানতে পারবেন। শক্তি রানি শর্মা বিজেপিতে যোগ দিয়ে আসন পাওয়ার পর দলটি একসঙ্গে দুটি সুবিধা পেয়েছে। প্রথমত, ব্রাহ্মণ ভোট এবং দ্বিতীয়ত, মহিলা ভোট পাওয়াটা আরও সহজ হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে মডেল জেসিকা লাল খুন হন। পরে প্রধান অভিযুক্ত মনু শর্মাকে নির্দোষ বলে রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু, তাতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। চাপে পড়ে পুলিশ রিভিউ পিটিশন করে। পরে মনু শর্মাকে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এদিকে, ২০১৪ সালে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয় মনু শর্মার বাবা তথা প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক বিনোদ শর্মাকে। সে বছরই তিনি জনচেতনা পার্টি নাম দিয়ে নিজের একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রসঙ্গত, হরিয়ানায় ভোট হবে আগামী ৫ অক্টোবর এবং গণনা হবে ৮ অক্টোবর।