৪৫ মিনিটের বক্তব্য। আর তাতে অন্তত ৩৪ বার চিনের নাম নিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এর জেরে রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি যতবার চিনের নাম উল্লেখ করেছেন ততবার সেখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মালব্য লিখেছেন, ৪৫ মিনিটের বক্তব্যে রাহুল গান্ধী অন্তত ৩৪ বার চিন শব্দটি উল্লেখ করেছেন।
আসলে দেশের উৎপাদন ক্ষেত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সঙ্গেই রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, চিন কমপক্ষে ১০ বছর এগিয়ে আছে এই উৎপাদন ক্ষেত্রে।
রাহুল বলেছিলেন, মানুষ এআইয়ের কথা বলেন। কিন্তু তথ্য ছাড়া এআইয়ের কোনও মানে হয় না। আর আমরা যদি তথ্যের দিকে তাকাই সেখানে একটা বিষয় খুব পরিস্কার। … এই তথ্য কাজে লাগে ফোন তৈরির ক্ষেত্রে, এই তথ্য কাজে লাগে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে। আর ইলেকট্রনিক্সের ক্ষেত্রে যে ডেটা তার প্রায় সবটারই মালিক হল চিন। আর পরিষেবা সংক্রান্ত যে ডেটা তার মালিক হল আমেরিকা।
রাহুল বলেছিলেন, চিন অন্তত এই ক্ষেত্রে ভারতের থেকে ১০ বছর এগিয়ে আছে। চিন ব্যাটারি, রোবট, মোটর সহ নানা ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করছে। গত ১০ বছর ধরে তারা এই সব নিয়ে কাজ করছে। আর আমরা এই কাজে পিছিয়ে রয়েছি।
এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়ার যে ভাবনা তাকেও কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মেক ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের প্রস্তাব করেছিলেন। আমার মনে হয় এটা একটা ভালো আইডিয়া। আর তার ফল তো আপনাদের সামনেই হাজির। উৎপাদনক্ষেত্রে জিডিপি ১৫.৩ শতাংশ ছিল ২০১৪ সালে। সেটা আরও নেমে গিয়ে হয়েছে ১২.৬ শতাংশ। ৬০ বছরে এটা সর্বনিম্ন।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দোষ দিচ্ছি না। তিনি চেষ্টা করেননি এটা বলা ঠিক হবে না। আমি বরং এটা বলব যে প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করেছেন কিন্তু তিনি ব্যর্থ। আমি উৎপাদনক্ষেত্রকে চিনের হাতে তুলে দিয়েছি।
রাহুল গান্ধী একটি শক্তিশালী উৎপাদন ক্ষেত্র তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের অসমর্থতার কথাকে তুলে ধরেন। তিনি জানিয়েছেন, যে কোনও দেশ দুটি বিষয়কে তুলে ধরে। একটা হল ভোগ আর অপরটি হল উৎপাদন। বর্তমানে এটাকে পরিষেবা বলে উল্লেখ করা হয়। আর এক সংগঠিত প্রোডাকশনকে ম্যানুফাকচারিং বলে উল্লেখ করা হয়। তবে কেবলমাত্র ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের থেকে এই প্রোডাকশনে অনেক বড় বিষয় থাকে। তবে এই অর্গানাইজিং প্রোডাকশনে আমরা বেশ ব্যর্থ।