বহিষ্কৃত জেডিএস নেতা প্রজ্জ্বল রেভান্নার যৌন কেলেঙ্কারি মামলায় এবার এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল কর্ণাটক পুলিশ। ধৃত বিজেপির নেতার নাম দেবরাজে গৌড়া। তার বিরুদ্ধে রেভান্নার যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিয়ো ফাঁস করার পাশাপাশি এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে চিত্রদূর্গ জেলার হিরিউর থানার পুলিশ গুলিহাল টোল গেট থেকে গৌড়াকে গ্রেফতার করেছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই কর্ণাটকে আরও অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: রেভান্না 'সেক্স ভিডিও', বিলি হয়েছিল ২৫ হাজার পেনড্রাইভ অভিযোগ এইচডি কুমারস্বামীর
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে ২৬ এপ্রিল ভোট শুরু হওয়ার আগে একাধিক ভিডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে। সেই সমস্ত ভিডিয়ো নাকি দেবরাজে ফাঁস করেছিলেন বলেই অভিযোগ ওঠে। পেশায় আইনজীবী দেবরাজে ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে এইচডি রেভান্নার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। দেবরাজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এ, ৩৫৪ সি, ৪৪৮, ৫০৬, ৫০৪, ৩৪ এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দেবরাজের বিরুদ্ধে অনেক আগেই অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। গত ১ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। ৩৬ বছর বয়সি ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে দেবরাজে গৌড়ার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। মহিলা অভিযোগ করেছিলেন যে তার সম্পত্তি বিক্রি করতে সাহায্য করার অজুহাতে তাকে শ্লীলতাহানি করেছিলেন বিজেপি নেতা। তাতে দেবরাজে ছাড়াও আরও তিন জনের নাম রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রজ্জ্বল রেভান্নার যৌন কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় কর্ণাটকে। সেক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যাক ফুটে চলে যায় বিজেপি। তখন কর্ণাটকের বিজেপি নেতা দেবরাজে কর্ণাটকের শাসক দল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মিথ্যে মামলায় বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল কংগ্রেস । বিজেপি নেতা আরও দাবি করেছিলেন, কর্ণাটক সরকার প্রমাণকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং সিটকে রাজ্য সরকারের ‘রিমোট নিয়ন্ত্রিত’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এই মামলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেত্রীকে নেতৃত্ব চিঠি দেওয়ার দাবি করেছিলেন দেবরাজে।
প্রসঙ্গত, এই যৌন কেলেঙ্কারিতে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন এইচডি রেভান্না। তবে তার পুত্র প্রজ্জ্বল রেভান্না এখনও পলাতক। তার বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। এদিকে, ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োর জেরে অনেক নির্যাতিতা আত্মগোপন করছেন। এই সমস্ত ভিডিয়ো অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন।