সদ্য ১৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে ৮ টি চিতাকে ছাড়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে এই ৮ চিতাকে ছেড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব কটাক্ষের সুরে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, 'সকলে শুনতে চেয়েছিল গর্জন, এতে বেড়ালের মাসির পরিবারের।' এরপরই পাল্টা টুইট বাণে অখিলেশের প্রতি যায় বিজেপির চরম কটাক্ষ।
বিজেপির তরফে অজয় শেরাওয়াত অখিলেশকে কটাক্ষ করে পাল্টা টুইট করেন, 'ইনি নাকি অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশোনা করে এসেছেন। পুরো পয়সা বরবাদ'। উল্লেখ্য, অখিলেশকে পাল্টা বিজেপি মনে করিয়ে দেয় যে চিতা সিংহের তুলনায় 'গর্জন' করতে পারে না। বেড়াল, চিতা আর বাঘ আলাদা প্রাণি এই বিষয়েও অনেকে অখিলেশকে কটাক্ষ করেন। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়ায় অখিলেশের পড়াশোনার জন্য যে খরচ হয়েছে তার 'সব পয়সা বরবাদ' হয়েছে বলেও ইশারা ছিল ওই বিজেপি নেতার। এই টুইট তরজা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক হইচই শুরু হয়। এদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর আরও কটাক্ষের সুরে একটি টুইটে এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, ' রাহুল গান্ধীর অনেক প্রতিযোগী রয়েছেন। তবে এই ভদ্রলোক দৌড়ে সবচেয়ে কাছে।'
বলা হয়, জাগুয়ার, লেপার্ড, বাঘ ও সিংহের তুলনায় চিতা কোনও গর্জন করতে পারেনা। তবে চিতা ৩ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়তে পারে। এদের পায়ের তলায় বিশেষ ধরনের একটি অংশ থাকে, যার সঙ্গে রবার টায়ারের তুলনা করা হয় অনেক সময়। এদের লেজ এদের শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে বলে জানা যায়। তবে ভারতের বুকে নামিবিয়া থেকে ৮ চিতার প্রবেশের পরই যেভাবে চিতা-রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়েছে, তা জমিয়ে রেখেছে নেটপাড়াকে। অখিলেশের টুইটের পাল্টা বিজেপি নেতাদের টুইট ঘিরে জোর চর্চা শুরু।