নাগপুরের বিজেপি নেত্রী সানা খান হত্যাকাণ্ড ঘিরে ব্যাপক তোলপাড়। প্রায় ১০ দিন হয়ে গিয়েছে, সানা খান নিখোঁজ। এদিকে, ঘটনার জেরে তাঁর স্বামী অমিত সাহুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুলিশি জেরায় তিনি জানিয়েছেন যে, তিনিই সানা খানকে হত্যা করেছেন। এখানেই শেষ নয়। দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নদীতে দেহ ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বামী অমিত সাহু পুলিশকে জানালেও, পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে পারেনি। সানা খান হত্যাকাণ্ডে, শুক্রবারই অমিত সাহুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর অমিত সাহু সানাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে খবর। এদিকে, জানা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সাহু পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর সঙ্গে কয়েকজন মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। জবলপুরের ঘোড়াবাজারে এই হত্যাকাণ্ড হয়। প্রসঙ্গত, বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেত্রী ছিলেন সানা খান। তিনি সদ্য জবলপুরে গিয়েছিলেন। জবলপুরে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সানা। শেষবার ১ অগস্ট সানাকে জবলপুরে দেখা গিয়েছে। সেখানে তিনি স্বামী অমিত সাহুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, একটি প্রাইভেট বাসে চড়ে সানা খান জবলপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। পরের দিন তিনি তাঁর মাকে ফোনও করেন। সেই দিনটি ছিল ১ অগস্ট। এরপর থেকেই নিখোঁজ সানা।
( আদিবাসীদের অনুষ্ঠানে দেশি মদকে চরণামৃত ভেবে ‘অজান্তে’ গলায় ঢেলে ফেললেন মন্ত্রী! গুজরাটে তোলপাড়)
সানা খান হত্যাকাণ্ডে ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মধ্যপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্রে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। কেন এই খুন তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। অভিযুক্তদের কোর্টে পেশ করে হেফাজত চাওয়ার পথে এগোচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। সব মিলিয়ে সানা খান হত্যা মামলায় বেশ তোলপাড় মহারাষ্ট্রে।
উল্লেখ্য, দেশে এর আগেও একের পর এক মহিলার খুন ঘিরে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা উঠে এসেছে। সদ্য এক ৬০ বছরের ব্যক্তি এক ৮৫ বছরের মহিলাকে ছাতা দিয়ে হত্যা করেন। সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। ভিডিয়োর সত্যতা যদিও যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ব্যক্তি নিজেকে মহাদেব বলে উল্লেখ করছেন। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ছাতা দিয়ে ওই মহিলাকে আঘাত করতে থাকেন। পরে ওই মহিলা মারা যান।