বুলডোজার দিয়ে বিজেপি নেতার ছেলের রিসর্ট গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উত্তরাখণ্ড সরকার। ওই বিজেপি নেতার ছেলের বিরুদ্ধে ১৯ বছরের এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। যিনি তাঁর হোটেলে রিসেপশনিস্টের কাজ করতেন।
বিজেপি-শাসিত রাজ্য উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির বিশেষ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অভিনব কুমার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হৃষিকেশে বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যের ছেলে পুলকিতের বনতারা রিসর্ট ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের পোস্ট করা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাতে আলো জ্বালিয়ে বুলডোজার দিয়ে রিসর্ট ভেঙে ফেলার কাজ চলছে। রিসর্টের গেটের অংশ, উপরের তলার অংশও ভেঙে ফেলতে দেখা গিয়েছে। যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অঙ্কিতা ভাণ্ডারীর খুন
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে অঙ্কিতার খোঁজ মিলছিল না। যিনি পুলকিতের রিসর্টে রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। পরে একটি খাল থেকে অঙ্কিতার দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই ঘটনায় শুক্রবার পুলকিত, সৌরভ ভাস্কর (৩৫) এবং অঙ্কিত গুপ্তাকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Malda Murder: ‘আমি খুন করেছি’, স্ত্রীর মুণ্ড কেটে চিৎকার করল স্বামী, মালদার হবিবপুরে আলোড়ন
পাউরি গারওয়ালের সিনিয়র পুলিশ সুপার যশবন্ত সিং জানিয়েছেন, পুলকিতের রিসর্টে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত সৌরভ। তার সহকারী হিসেবে কাজ করত অঙ্কিত। তদন্তকে বিভ্রান্ত করার জন্য গত মঙ্গলবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল পুলকিত। যদিও অঙ্কিতার বাবার সন্দেহ ছিল যে অঙ্কিতার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পুলকিত, সৌরভ এবং অঙ্কিতের হাত আছে। অঙ্কিতার এক বন্ধু তাঁকে হোয়্যাটসঅ্যাপে কথোপকথন দেখিয়েছিলেন।
গারওয়ালের সিনিয়র পুলিশ সুপার বলেন, 'তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পেরেছে যে গত রবিবার হৃষিকেশে যান অঙ্কিতা। সঙ্গে ছিল অভিযুক্ত। ফেরার সময় পুলকিতের সঙ্গে তরুণীর ঝগড়া হয়। তারপরেই অঙ্কিতাকে খালে ফেলে দেওয়া হয়।' রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, চিল্লা খাল থেকে অঙ্কিতার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ শনাক্ত করতে শনিবার সকালে অঙ্কিতার পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা।
নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, তরুণীকে দেহব্যবসায় নামার জন্য জোরাজুরি করছিল পুলকিত। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন), ২০১ ধারা (অপরাধের তথ্যপ্রমাণ লোপাট বা ভুল তথ্য দেওয়া) এবং ১২০-বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সৌরভ এবং অঙ্কিতের বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।