উগ্র হিন্দুত্বের কথা বলেন তাঁরা। হনুমানের পুজোও করে ঘটা করে। কিন্তু সেই পবন–পুত্র হনুমানের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিলেন উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতার স্ত্রী। সংকটমোচনকে ভয় পেয়ে সংকট নামিয়ে আনলেন জীবনে। গুরুতর জখম হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলায়। পবন–পুত্রের ভয়ে যিনি ছাদ থেকে ঝাঁপ দিলেন তিনি শামলির কৈরানা শহরের বিজেপি নেতা অনিল কুমার চৌহানের স্ত্রী সুষমা। বয়স ৫০। তিনি মঙ্গলবার বাড়ির ছাদে উঠেছিলেন। প্রতিবেশীরা জানান, এলাকায় বেশ কয়েকটি হনুমান উপদ্রব চালাচ্ছিল। সুষমা ছাদে যেতেই হনুমান সেখানে চলে আসে। এমনকী তাড়াও করে সুষমাকে। ভয়ে পেয়ে দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে নীচে ঝাঁপ দেন সুষমা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সুষমার স্বামী অনিল জানান, তখন বাড়িতে ছিলেন না তিনি। উত্তরপ্রদেশে কয়েকদিন ধরেই হনুমানের উপদ্রব বেড়েছে। মথুরা–সহ বেশ কয়েকটি জেলা প্রশাসন যোগী সরকারের কাছে অভিযোগও জানিয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, হনুমানের উপদ্রব নিয়ে উদ্বেগে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মথুরায় ১০০টি হনুমানকে বন্দি করা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর থকে উত্তরপ্রদেশে শুরু হয়েছে ১৫ দিন ব্যাপী হনুমান ধরপাকড়ের বিশেষ অভিযানও।
উল্লেখ্য, সোমবার হিমাচল প্রদেশেও শামলির মতোই একই ঘটনা ঘটেছে। হিমাচলের মাণ্ডি জেলার ওই ঘটনায় মারা গিয়েছে ১১ বছরের এক কিশোর। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরের নাম দিব্যাংশ শর্মা। সকালে নিজের বাড়ির ছাদে উঠেছিল সে। দিব্যাংশও হনুমানের তাড়া খেয়ে দোতলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যায়।