সীমান্ত পার থেকে প্রাণনাশের হুমকি বিজেপি নেতাকে। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-খালসার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মুম্বইয়ের বাঙ্গুর নগর পুলিশ স্টেশনে এফআইআর রুজু হয়েছে। জানা গিয়েছে, হুমকি পাওয়া বিজেপি নেতার নাম তজিন্দর সিং টিওয়ানা। তিনি মুম্বইয়ে যুব মোর্চার সভাপতি। অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় টিওয়ানা একটি অচেনা নম্বর থেকে কল পেয়েছিলেন। সেই সময় টিওয়ানা ব্যস্ত থাকায় ফোন তুলতে পারেননি। তবে কয়েক মিনিট পর একই নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পান তিনি। সন্দীপ সিং পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি টিওয়ানাকে হুমকি দেয়, তিনি বিজেপি ত্যাগ না করলে টিওয়ানা এবং তাঁর পরিবারকে হত্যা করা হবে। হুমকি দেওয়া সন্দীপ সিং সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-খালসার একজন মুখপাত্র বলে জানা গিয়েছে। এই একই ধরনের হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন রামপুরের বিজেপি সাংসদ ঘনশ্যাম লোধিও। (আরও পড়ুন: রাত ৮টায় দোকান বন্ধ করলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, আজব যুক্তি পাক মন্ত্রীর)
বিজেপি যুব শাখার নেতা তজিন্দর পুলিশের কাছে তাঁর বিবৃতিতে দাবি করেছেন, লস্কর-ই-খালসার তরফে অন্যান্য বিজেপি এবং আরএসএস নেতাদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদেরও হত্যার হুমকি দিয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন। টিওয়ানার অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬(২) (অপরাধমূলক ভীতিপ্রদর্শন) এবং ৫০৭ (অজ্ঞাতনামা যোগাযোগের দ্বারা অপরাধমূলক ভাবে ভয় দেখানো) ধারার অধীনে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। টিওয়ানা যে মোবাইল নম্বর থেকে বার্তাগুলি পেয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখে পুলিশ অভিযুক্তকে সনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে টিওয়ানা বলেন, 'দুষ্কৃতিদের কীভাবে সামলাতে হয়, তা জানা আছে আমার। এই হুমকি আমাকে বা আমার পরিবারকে ভয় দেখাতে পারবে না।' এর আগে যুব মোর্চার মুম্বই শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ সামলেছেন টিওয়ানা। ২০১৯ সালে তাঁকে মুম্বইয়ে মোর্চা সভাপতি করা হয়েছিল। তাঁর বাবা এবং মা, উভয়ই মালাডের কাউন্সিলর থেকেছেন।
এর আগে পাকিস্তানের এই জঙ্গি সংগঠন থেকে হুমকি পেয়েছিলেন রামপুরের বিজেপি সাংসদ ঘনশ্যাম লোধিও। তিনি এই নিয়ে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছেন। লোধি জানান, তাঁর কাছে পাঁচবার ফোন আসে একটি অচেনা নম্বর থেকে। পরে এই একই নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় লোধি এবং তাঁর পরিবারকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।