গোয়া সরকারের তরফে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী নিযুক্ত হলেন বিতর্কিত চরিত্র প্রশান্ত উমরাও। এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, প্রশান্ত উমরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্ট করার জন্য বহুবার শিরোনামে এসেছেন। তাছাড়া এই পদে আসীন হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মোট তিনজন আইনজীবীকে সুপ্রিমকোর্টে সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করেছে গোয়া সরকার। উমরাও ছাড়া অভয় অন্তুরকার এবং শিরিন খাজুরিয়াকে সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত করেছে গোয়া সরকার। এদের মধ্যে উমরাওয়ের নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ উমরাও বহুবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুয়ো পোস্ট করেছেন, যার জেরে বিতর্কে জড়িয়েছেন বহুবার।
অনেক ক্ষেত্রেই উমরাওয়ের পোস্ট করা খবর ফ্যাক্ট চেক করার পর দেখা যায় যে সেটি ভুয়ো। সেই সব পোস্টের মাধ্যমে উমরাও ঘৃণা এবং সামপ্রদায়িকতা ছড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এই কারণেই এই নিয়োগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের বক্তব্য, এই নিয়োগ মেনে নেওয়া যায় না। এটা হতবাক করা সিদ্ধান্ত।
এই বিষয়ে গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি গিরিশ চোড়ানকার বলেন, 'আমরা খুবই অবাক এবং সন্ত্রস্ত এই নিয়োগে। প্রশান্ত কুমার উমরাও নামক উত্তরপ্রদেশের এক আইনজীবীর নিয়োগ নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। তিনি ঘৃণা ছড়ান, নারীবিদ্বেষী, ধর্মান্ধ এবং ধারাবাহিক ভাবে ভুয়ো খবর ছড়ান। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে রয়েছেন সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে। তিনি ক্রিশ্চান এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ান।'
গিরিশ চোড়ানকার আরও বলেন, 'গোয়াকে সবাই চিরকাল ধর্ম নিরপেক্ষ, উদার এবং প্রগতিশীলতার জন্য চেনে। সব গোয়াবাসী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে থাকতে চায় এবং কট্টরপন্থায় বিশ্বাস করে না। তবে যদি গোয়ার মানুষের হয়ে সুপ্রিমকোর্টে একজন সাম্প্রদায়িক মানুষ মামলা লড়েন, সেটা গোয়ার প্রতি অসম্মানজনক। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত আমাদের রাজ্যের সংস্কৃতির মজা ওড়াচ্ছেন।'
কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, 'আমরা মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওান্তের কাছে আবেদন করছি যাতে অবিলম্বে প্রশান্ত উমরাওয়ের নিয়োগের সিদ্ধান্ত রদ করা হয়।' উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় উমরাও দাবি করেছেন যে টেরেসা মিশনারিরা নাকি বাচ্চা পাচার করে, খাটুয়াতে নাকি কোনও ধর্ষণ হয়নি। তাছাড়া মুসলিম এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধেও একাধিকবার সরব হয়েছেন উমরাও। তবে এই নিয়োগ নিয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি গোয়ার আইন দফতরের তরফে।