২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাত, গোয়া, পঞ্জাবের মতো রাজ্যে। সেই নির্বাচনের একবছর আগে ইতিমধ্যেই বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড, গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়েছে। সূত্রের খবর, শুধু মুখ্যমন্ত্রী বদল করেই থামবে না বিজেপি। এই রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে নয়া মুখ আমদানি করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। আর এর জন্য ৫০ শতাংশ বিধায়ককেও আগামী বছরের নির্বাচনে টিকিট না দেওয়া হতে পারে।
এর আগের নির্বাচনে বিজেপিকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বিধায়ককে টিকিট না দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। এই আবহে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'বেশ কয়েকটি রাজ্যে, দল মানুষের মন বুঝতে সমীক্ষা চালিয়েছে। বিধায়কদের গত পাঁচ বছরের কাজের রিপোর্ট কার্ড জমা দিতেও বলা হয়েছিল। যাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল না, তাদের ফের টিকিট দেওয়া হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'কোভিড অতিমারী আমাদের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিল। সরকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়ানো, টিকা নিশ্চিতকরণ এবং চিকিৎসা সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে কিছুটা কাজ করেছে। দলের তরফে ত্রাণ বিতরণেরও আয়োজন করা হয়েছিল। দলের সভাপতি (জেপি নড্ডা) প্রতিটি রাজ্য ইউনিটকে গরিবদের খাওয়ানোর জন্য বলেছিলেন। যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের সহায়তা করতে বলেছিলেন। এবং 'সেবাই সংগঠন' কর্মসূচির অধীনে নিজ নিজ বুথে ১০০ শতাংশ টিকা নিশ্চিত করতে বলেছেন। সেবা ফ্রন্টে বিধায়কদের করা কাজেরও মূল্যায়ন করা হবে।'
উল্লেখ্য, অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি বিজেপির জন্য বড় মাথা ব্যথার কারণ। এই কারণেই উত্তরাখণ্ডে গত কয়েকমাসে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়েছে। গুজরাতেও মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি ক্যাবিনেটের খোলসও বদলে ফেলা হয়। এই আবহে বিধায়কদেরও টিকিট দেওয়া নিয়ে অনেক অঙ্ক কষবে বিজেপি। শুধু কাজের খতিয়ান নয়, জাত-পাতের অঙ্কও মাথায় রাখা হবে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে। এই পরিস্থিতিতে ২০২২ সালে আমূল পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবির।